জিম্বাবুয়ে সফর শেষ করে আগামীকাল দেশে ফিরছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হোম সিরিজ। তবে সেরা একাদশ সাজাতেই এখন বিপাবে পড়েছেন নির্বাচকরা। ইনজুরির পাশাপাশি পারিবারিক সমস্যায় একাদশ নিয়েই ভাবনায় টিম ম্যানেজমেন্ট।
আন্তর্জাতিক সূচী মাথায় রেখে মহামারির পরিস্থিতি মেনেই খেলতে হচ্ছে দুই দলকে। টানা এক মাসের সফর, এরপর কোয়ারেন্টাইন তার পর ৭ দিনের ব্যবধানে পাঁচ ম্যাচ। ক্রিকেটারদের ইনজুরির ঝুঁকি থেকেই যায়। করোনার শুরুর থাবায় এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বাইরে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আন্তর্জাতিক সার্কিটে ফিরেই দম ফেলানোর সময় পাচ্ছে না দলের ক্রিকেটাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলেই আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ে উড়াল দেয় টাইগাররা। সেখান থেকে কাল দেশে ফিরেই পরিবারের সান্নিধ্যে না গিয়ে বন্দি হতে হবে চার দেয়ালে। বিমানবন্দর থেকে সোজা টিম হোটেলে। কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষে মাত্র সাত দিনের ব্যবধানে খেলতে হবে পাচ ম্যাচ।
হোম সিরিজ হলেও, নানান শর্তের বেড়াজালের মধ্যে মাঠে গড়াবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ। প্রতিপক্ষ কিছুটা কম শক্তির দল পাঠালেও, বাংলাদেশ পাচ্ছে না সেরা দল। পারিবারিক কারণে ব্যাটিংয়ের ভরসা মুশফিকুর রহিমকে পাওয়া যাবে না। একই কারণে সিরিজ মিস করছেন লিটন দাস ও আমিনুল বিপ্লব। ইনজুরির মিছিলে দেশের হয়ে টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তামিম ইকবাল। এতো ক্রিকেটার হারানোর পর যারা ছিল তাদের নিয়েও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে লড়াই করা যেত। তবে সর্বশেষ খবর হলো বিশ্বের অন্যতম টি-টোয়েন্টির সেরা ক্রিকেটার সাকিবও ভুগছেন ইনজুরিতে। দলের স্ট্রাইক বোলার মুস্তাফিজও ইনজুরি থেকে ফিট নন। এছাড়া টি-২০ সিরিজের সেরা ফর্মের তুঙ্গে থাকা সৌম্য সরকারও ইনজুরিতে। দলের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে ক্রিকেট অপারেসন্স এর চেয়ারম্যান আকরাম খান বলেন, জিম্বাবুয়েতে টানা একমাসের লম্বা সফরের পর ক্রিকেটাররা পরিবারের কাছে না গিয়ে কোয়ারেন্টাইনে থেকে আবারও মাঠে নামবে। এতে তাদের মানসিক ধকল যাবে। তবে কঠিন বাস্তবতা মেনেই খেলতে হবে সবাইকে। ছোট-খাটো ইনজুরি নিয়ে দলে সাথে থাকা সাকিব, সৌম্য, মুস্তাফিজরা শতভাগ ফিট নন।