মডার্না ও সিনোফার্মের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় চানাল আজ সকালে ঢাকায় পৌঁছেছে।স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বাসসকে বলেন, ‘মডার্নার মোট ১২ লাখ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে এবং বাংলাদেশ সরকার ক্রয়কৃত সিনোফার্ম ভ্যাকসিনের ১০ লাখ টিকা ভোর ৫ টা ৩০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।’
গতকাল দিবাগত রাত ১১ টা ৩০ মিনিটে মডার্নার ১.৩ মিলিয়ন ডোজের প্রথাম চালানটি বিমানবন্দরে পৌঁছায়। এর প্রায় এক ঘন্টা পর সিনোফার্মের ১০ লাখ ভ্যাকসিনের প্রথম বাণিজ্যিক চালানটি বাংলাদেশে পৌঁছায়।পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার-কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মডার্না ও সিনোফার্মের এই টিকার প্রথম চালান গ্রহণ করেন।স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই বিভিন্ন দেশ থেকে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের মোট ১০ কোটি ডোজ বাংলাদেশে পৌঁছবে। চলতি বছরের মধ্যেই ৫ কোটি লোককে এই ভ্যাকসিন দেয়া হবে।’এর আগে, গত মে ও জুন মাসে দু’টি বিশেষ উপলক্ষে বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে উপহার পাওয়া সিনোফার্মের ১.১ মিলিয়ন ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করে।২১ জানুয়ারি, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো অক্সফোর্ড-আস্ট্রাজেনিকার কোভিড-১৯ভ্যাকসিনের একটি চালান গ্রহণ করে। ভারত উপহার স্বরূপ এই ২০ লাখ ডোজ টিকা পাঠায়। এছাড়াও ২৬ মার্চ বাংলাদেশ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার আরো ১২ লাখ ডোজ টিকা পায়।এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনিকার ১.২ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছে।২৯ জুন, ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (ডিজিডিএ) দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য কোভিড-১৯ মর্ডানার ভ্যাকসিনের অনুমোদন বা ইমার্জেন্সি ইউস অথোরাইজেশন (ইইউএ) দেয়।প্রাণঘাতি রোগটি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ এর আটটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। কোভিড-১৯ এর অনুমোদনকৃত ভ্যাকসিনগুলো হচ্ছে- মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন, করোনা ভ্যাক, ফাইজার, কোভিশিল্ড, স্পুটনিক ভি, অ্যাস্ট্রাজেনিকা ও সিনোফার্ম।এখন পর্যন্ত করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য দেশের ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন নিবন্ধিত হয়েছে।
৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের গণ-টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। দেশের ১ হাজার ৫৫টি টিকা-কেন্দ্র থেকে মানুষ এই টিকা গ্রহণ করে। ১ জুলাই পর্যন্ত দেশের মোট ৫৮ লাখ ২০ হাজার ১৫ জন করোনার প্রথম ডোজের টিকা গ্রহণ করেছে। এবং ৪২ লাখ ৮৯ হাজার ৯১৩ জন দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহণ করেছে।