চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১০৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। সংক্রমণের হার ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এ সময়ে করোনায় ১ জন মারা যায়।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের রিপোর্টে বলা হয়, গতকাল সোমবার সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে নগরীর আটটি ও কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৯০২ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে নতুন শনাক্ত ১০৬ জন বাহকের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৭৪ জন এবং নয় উপজেলার ৩২ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৫১ হাজার ৩৯০ জনে। সংক্রমিতদের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৪১ হাজার ১২৩ জন ও গ্রামের ১০ হাজার ২৬৭ জন। উপজেলা পর্যায়ে গতকাল শনাক্ত ৩২ জনের মধ্যে রাউজান ও হাটহাজারীতে ৭ জন করে, রাঙ্গুনিয়া ও পটিয়ায় ৪ জন করে, ফটিকছড়ি ও সীতাকু-ে ৩ জন করে, সাতকানিয়ায় ২ জন এবং আনোয়ারা ও বোয়ালখালীতে ১ জন রয়েছেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে গতকালের ১ জনসহ চলতি মাসের প্রথম দশ দিনে ৪৪ করোনা রোগির মৃত্যু হলো। এ মাসে এটাই একদিনের সর্বনি¤œ মৃত্যু।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে গ্রামের ২ জনসহ ২৪ জনের রেজাল্ট পজিটিভ আসে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫২ জনের নমুনায় গ্রামের ৫ জনসহ ২০ জন আক্রান্ত শনাক্ত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৩৫টি নমুনার মধ্যে শহরের ১০ ও গ্রামের ১৯টিতে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় শহরের ১ জন ও গ্রামের ১ জন জীবাণুবাহক চিহ্নিত হন।
বেসরকারি চার ল্যাবরেটরির মধ্যে শেভরনে ২০৩টি নমুনা পরীক্ষা করে গ্রামের ৩টিসহ ৮টি, ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৬৭টি নমুনার মধ্যে গ্রামের ১টিসহ ১৩টি, মা ও শিশু হাসপাতালে ২৯টি নমুনায় গ্রামের ১টিসহ ৬টি এবং মেডিকেল সেন্টারে ১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হলে শহরের ৪টিতে ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলে। চট্টগ্রামের ৩ জনের নমুনা কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তিনটিরই নেগেটিভ রেজাল্ট আসে।
তবে এদিন নগরীর একমাত্র বিশেষায়িত কোভিড চিকিৎসা কেন্দ্র আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে বিআইটিআইডি’তে ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, সিভাসু’তে ১৩ দশমিক ১৬, চবি’তে ২১ দশমিক ৪৮, চমেকে ৭ দশমিক ৪১, শেভরনে ৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ, ইম্পেরিয়ালে ১৮ দশমিক ৪৯, মা ও শিশু হাসপাতালে ২০ দশমিক ৬৯, মেডিকেল সেন্টারে ৩০ দশমিক ৭৭ এবং কক্সবাজার মেডিকেলে ০ শতাংশ সংক্রমণ হার নির্ণিত হয়।