চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, করোনাকালে বৈশ্বিক পরিস্থিতি মোটেই সুবিধাজনক অবস্থানে নেই। তাই সকলেই বিপর্যস্ত। তবে শংকিত হলে বিপদ আরো বাড়বে। এ কারণে ধৈর্য্য ধরে পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হবে এবং ধৈর্য্যই ধর্ম। আজ সবচেয়ে বড় প্রয়োজন স্বাস্থ্যবিধি ও সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা এবং আনন্দ-উচ্ছাসে গা ভাসিয়ে না দেয়া।
তিনি আজ সোমবার হালিশহর মুনির নগর ও দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে ঈদ উপহার বিতরণকালে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর আওতায় দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবুও ঈদ আনন্দ উপভোগে মানুষের ছুটে চলা থেমে নেই। তাই পদে পদে বিপদ ঘটার আশংকা দেখা দিচ্ছে। এই বিপদ ঈদ আনন্দকে শুধু ম্লান করবে না বরং বড় ধরণের বিপর্যয় ও দুর্ভোগ ডেকে আনবে। তাই প্রত্যেকের উচিত বাড়িতে গিয়ে আপনজনদের বিপদ ডেকে না আনা।
তিনি উল্লেখ করেন, ভারতে সংক্রমিত করোনা ভাইরাসের নতুন বিপজ্জনক ধরণটির অনুপ্রবেশের আভাস পাওয়া গেছে। অবশ্যই তা প্রতিরোধ করতে হবে এবং আমরা তা করতে পারবো। কারণ মহান আল্লাহর পর আমাদের একমাত্র ভরসা সাহসী প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
হালিশহর মুনির নগর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জানে আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরো বক্তব্য রাখেন প্যানেল মেয়র মো. গিয়াসউদ্দীন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফরোজা কালাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মো. এনামুল হক, সহ-সভাপতি এসএম নাসির উদ্দীন।
তিনি দক্ষিণ আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের একটি কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিবন্ধীদের কাছে ঈদ উপহার বিতরণ করতে গিয়ে বলেন, ঈদ উপহার দয়া নয়, সহায়তা। আশা করি, আজ যারা প্রতিবন্ধী আল্লাহ তাদের ওপর রহমত বর্ষণ করবেন।
কারা পরিদর্শক আজিজুর রহমান আজিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ইঞ্জি. ফারুক আহমেদ, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, চসিক প্যানেল মেয়র মো. গিয়াসউদ্দীন, কাউন্সিলর শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফরোজা কালাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইব্রাহিম, রাহুল বড়ুয়া রাহুল, রনি মির্জা, ফরহাদ সায়েম প্রমুখ।