কুমিল্লা (দক্ষিণ) জেলার নাঙ্গলকোটে সেনা সদস্য আবদুর রহমান হত্যা মামলায় ৪ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি অপর এক আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার দুপুর আড়াইটায় কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামিদের উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করেন। দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সশ্রম কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও গ্রামের হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান বগুড়া সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা তাকে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে হত্যার পর নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে গোত্রশাল দিঘীর পশ্চিম পাশে তার মরদেহ ফেলে যায়। খবর পেয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পরদিন রাতে নিহত আবদুর রহমানের বাবা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাকসাম রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতাউর রহমান তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এ মামলায় ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক অভিযুক্ত ৫ জনের মধ্যে ৪ জনকে ফাঁসির রায় দেন এবং অপর আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দেন।
দন্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে ফাঁসির আসামিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার চম্পকনগর বাদারিয়া কলোনির মৃত রুহুল আমিন প্রকাশ্যে বাদশা মিয়ার ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম, একই থানার উথারিয়া গ্রামের রেজু মিয়ার ছেলে উজ্জ্বল মিয়া ওরফে ইয়াছিন ওরফে পিচ্ছি ভাগিনা প্রকাশ কালা, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার মৌলভীপাড়া গ্রামের মৃত রফিক মিয়ার ছেলে জনি প্রকাশ নয়ন ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার মশাখালী গ্রামের আকাশী দাস প্রকাশ কালীদাসের ছেলে প্রদীপ দাস। এ মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বাসুদেব গ্রামের মৃত লাহু মিয়ার ছেলে আলী আক্কাছকে ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট নাঈমা সুলতানা মুন্নী।