ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বল হাতে শুরুটা ভালো করতে চান বাংলাদেশের ডান-হাতি পেসার আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি। শুরুটা ভালো করতে পারলে সিরিজে ইতিবাচক ফল আসবে বলে জানান তিনি। আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট।
সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রতিপক্ষের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে শুরুটা ভালো করতে মুখিয়ে আছেন রাহি। শুরুটা ভালো করতে পারলে, ম্যাচ জয় সহজ হবে বলে মনে করেন তিনি।
আজ দলের অনুশীলনের ফাঁকে রাহি বলেন, ‘আমরা পেসাররা যদি শুরুটা ভালো করতে পারি দলের শুরুটাও ভালো হবে বলে আমি মনে করি। উইকেটের সুবিধা কাজে লাগিয়ে পেসাররা যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজের টপ অর্ডারকে ধসিয়ে দিতে পারে তবে জয়ের বাকি কাজটা ব্যাটসম্যানরা করতে পারবেন।’
প্রায় ১১ মাস পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আবারো বড় ফরম্যাটে খেলতে নামবে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছিলো মোমিনুল হকের দল।
দীর্ঘ টেস্ট খেলতে না পারায় আবারো বড় ফরম্যাটে ম্যাচ খেলার অপেক্ষা ছিলেন রাহি। তবে এই বিরতির মাঝে কঠোর অনুশীলন করে গেছেন বলে জানান ডান-হাতি সুইং স্পেশালিস্ট রাহি, ‘সর্বশেষ ফেব্রুয়ারিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছি। গত ১১ মাস বড় ফরম্যাটে খেলা হয়নি আমাদের। দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেট হচ্ছে। টেস্ট খেলার জন্য অনেক দিন ধরেই অপেক্ষায় ছিলাম। এখন আবার ক্রিকেট শুরু হয়েছে, এবোর টেস্ট ক্রিকেট হবে। তবে বিরতির মধ্যেও সিলেট স্টেডিয়ামে আমি, এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ একত্রে অনুশীলন চালিয়ে গেছি। তাই আমাদের পরিকল্পনায় ছিলো যখন ক্রিকেট শুরু হবে তখন যাতে আমাদের সবকিছু ঠিক-ঠাক থাকে।’
এ জন্য সিলেট ডিভিশনকে ধন্যবাদ জানান রাহি। তিনি বলেন, ‘সিলেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে পারায় সিলেট ডিভিশনকে ধন্যবাদ জানাতে হবে আমাদের। সিলেট ডিভিশনে আমরা যখন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলি তখন আমাদের অনেক গুরুত্ব দেয়া হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে আমরা তিন পেস বোলার খেলছি, অনেক সময় বোলিং করছি। আমি আগেও বলছি, যত বেশি বোলিং করবো তত বেশি শিখবো। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট যখন খেলি তখন আমরা চাই অনেক বোলিং করতে। নিজেদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতা আছে। এজন্য আমরা মনে করবো, আমরা এই তিন পেস বোলার বিশেষ করে টেস্টে আসার কারণ হলো সিলেট ডিভিশনে আমাদের প্রাধান্য। তাদের প্রাধান্যের জন্যই আমরা তিনজন আজ এই জায়গায়।’
দীর্ঘদিন পর জাতীয় দলের সাথে এতো লম্বা সময় অনুশীলন করতে পেরে খুশি রাহি। বোলিং কোচ ওটিস গিবসনের সাথে কাজ, উপভোগ করছেন তিনি। রাহি বলেন, ‘অনেক দিন পর এতো লম্বা সময় অনুশীলন করতেছি। সত্যি কথা বলতে ভালোই লাগছে কারণ অনেকদিন পর মাঠে এসেছি, অনেক সময় অনুশীলন করছি এবং খুবই ভালো লাগছে। আমাদের কাজে কোচও সহায়তা করছে। তাই আমরা পেস বোলাররা সবকিছুই উপভোগ করছি।’