অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন- অভিজ্ঞ রস টেইলরের ব্যাটিংপড পাকিস্তানের বিপক্ষে বক্সিং-ডে টেস্টের প্রথম দিন নিজেদের করে নিলো নিউজিল্যান্ড। উইলিয়ামনের অপরাজিত ৯৪ রানের সুবাদে ৮৭ ওভারে প্রথম দিন শেষে ৩ উইকেটে ২২২ রান করেছে নিউজিল্যান্ড।৭০ রানে আউট হন টেইলর।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাটিংএর আমন্ত্রন জানায় পাকিস্তান। বল হাতে নিয়েই প্রথম ওভারে জ্বলে উঠেন পাকিস্তানের বাঁ-হাতি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি। ৪ রান করা ওপেনার টম লাথামকে বিদায় দেন তিনি।
লাথাম বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে না পারলেও, উইকেটে থাকার জন্য লড়াই করেছেন আরেক ওপেনার টম ব্লান্ডেল। উইকেট বাঁচিয়ে খেলতেই মনোযোগি ছিলেন তিনি। তবে ১১তম ওভারে আর নিজেকে বাঁচাতে পারেননি ব্লানডেল। সেই আফ্রিদির কাছেই সমপর্ন করেন তিনি। ২৯ বল খেলে কোন বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি ছাড়াই ৫ রান করে আউট হন ব্লান্ডেল। ফলে ১৩ রানে ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড।
আফ্রিদির জোড়া আঘাতের ধাক্কা সামলে উঠে নিউজিল্যান্ডকে খেলায় ফেরান অধিনায়ক উইলিয়ামসন ও টেইলর। মধ্যাহ্ন-বিরতি পর্যন্ত ২ উইকেটে ৫৫ রান করে নিউজিল্যান্ড। চা-বিরতি পর্যন্তও উইকেটে ছিলেন উইলিয়ামসন-টেইলর। এ সময় টেইলর ৬৬ ও উইলিয়ামসন ৪৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
চা-বিরতি থেকেই ফিরেই আফ্রিদির তোপে পড়ে আবারো উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। টেস্ট ক্যারিয়ারের ৩৪তম হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেয়া টেইলর তৃতীয় শিকার হন আফ্রিদির। ১০টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫১ বলে ৭০ রান করেন টেইলর। তৃতীয় উইকেটে ২৮১ বলে ১২০ রান করেন উইলিয়ামসন-টেইলর।
টেইলরকে হারানোর পর হেনরি নিকোলসকে নিয়ে আবারো বড় জুটি গড়েন উইলিয়ামসন। এই জুটিও বেশ সাবধানী ছিলেন। সাবধনতার কারনেই দিন শেষে বিচ্ছিন্ন হতে হয়নি তাদের। দু’বার জীবন পাওয়া উইলিয়ামসন ২৩তম সেঞ্চুরির অপেক্ষা নিয়ে দিন শেষ করেন। ২৪৩ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের অনবদ্য ইনিংসটি সাজান উইলিয়ামসন। ১০০ বলে ৪টি চারে ৪২ রানে অপরাজিত নিকোলস। পাকিস্তানের আফ্রিদি ২০ ওভারে ৫৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (টস- পাকিস্তান) :
নিউজিল্যান্ড : ২২২/৩, ৮৭ ওভার (উইলিয়ামসন ৯৪, টেইলর ৭০, আফ্রিদি ৩/৫৫)।