×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২০-১২-১৪
  • ৬৭০ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজার আগুন ঝরানো বোলিংয়ে বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের ফাইনালে উঠলো জেমকন খুলনা। আজ প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামকে ৪৭ রানে হারিয়েছে খুলনা। ৩৫ রানে ৫ উইকেট নেন ৩৭ বছর বয়সী মাশরাফি।
প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১০ রানের পাহাড় গড়ে খুলনা। জহিরুল ৫১ বলে ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন। জবাবে মাশরাফির বোলিং তোপে নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি লিগ পর্বে ৮ ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে জয় নিয়ে টেবিলের শীর্ষ দল চট্টগ্রাম। ২০ ওভারে ১৬৩ রানে অলআউট হয় চট্টগ্রাম।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে খুলনাকে ব্যাটিংএর আমন্ত্রন জানায় চট্টগ্রাম। উইকেটরক্ষক জাকির হাসানকে নিয়ে উড়ন্ত সূচনা করেন জহিরুল। ওপেনিং জুটিতে ৯ দশমিক ২ ওভারে ৭১ রান যোগ করেন জহিরুল ও জাকির। এর মধ্যে জহিরুলের অবদান ছিলো ৫১ রান। আর জাকিরের ২২ বলে ১৬ রান। রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিচ্ছিন্ন হন জহিরুল ও জাকির। পাওয়ার-প্লেতে থেকে ৪৬ রান পায় খুলনা।
এরপর তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েসকে নিয়ে ৪৮ রানের জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রেখেছিলেন ৩৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করা জহিরুল। মারমুখী মেজাজে রান তুলেছেন ইমরুলও। ১২ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৫ রান করা ইমরুল শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমানের।
৩৩তম বলে এবারের আসরের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেয়া জহিরুল নিজের ইনিংস বড় করার সাথে দলের রানের চাকাও সচল রেখেছিলেন। সেঞ্চুরির সম্ভাবনাও উঁকি-ঝুঁকি মারছিলো। কিন্তু ব্যক্তিগত ৮০ রানে জহিরুলকে শিকার করেন স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন। ৫১ বলে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন জহিরুল।
১৪ দশমিক ৫ ওভারে দলীয় ১৩২ রানে আউট হন জহিরুল। তার আউটের পর ব্যাট হাতে তান্ডব চালিয়েছেন সাকিব আল হাসান-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও আরিফুল হক। শেষ ৩১ বলে ৭৮ রান যোগ করেন সাকিব-মাহমুদুল্লাহ-আরিফুল। ফলে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ২১০ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় খুলনা।
১৬তম ওভারের প্রথম তিন বলেই ছক্কা মারেন অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ। বোলার ছিলেন বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম। ওভারে ২২ রান করে খুলনা।
১৭তম ওভারেও মারমুখী মেজাজে শুরু করেছিলেন মাহমুদুল্লাহ। অফ-স্পিনার সঞ্জিত সাহার প্রথম দু’বলে চার মারেন তিনি। তবে তৃতীয় বলে আউট হয়ে যান মাহমুদুল্লাহ। সতীর্থকে হারানোর ক্ষোভ চতুর্থ বলে ঝাড়েন সাকিব। হাঁকান ছক্কা। ৯ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৩০ রান করেন মাহমুদুল্লাহ। মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হবার আগে ১৫ বলে ২৮ রান করেন সাকিব। ২টি করে চার-ছক্কা মারেন তিনি।
এছাড়া আরিফুল ৯ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৫ ও মাশরাফি বিন মর্তুজা ২ বলে ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৬ রান করেন। চট্টগ্রামের মুস্তাফিজ ৩১ রানে ২ উইকেট নেন।
দলের স্কোর রানের পাহাড়ে উঠে যাওয়ায় লড়াই করার পুঁিজ পেয়ে যান বোলাররা। প্রথম ওভারে বল হাতে নেন খুলনার পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা। প্রথম পাঁচ বলে ১টি করে চার-ছক্কায় ১৩ রান দেন ম্যাশ। সবগুলো রানই করেন ওপেনার লিটন দাস।
ওভারের শেষ বলে চট্টগ্রামের ওপেনার সৌম্য সরকারকে খালি হাতে ফেরান ম্যাশ।
সৌম্যের বিদায়ে ক্রিজে লিটনের সঙ্গী হন মাহমুদুল হাসান জয়। এই জুটিকেও বড় হতে দেননি মাশরাফি। মারমুখী মেজাজে থাকা লিটনকে এবার নিজের শিকার বানান ম্যাশ। ১৩ বলে ২৪ রান করা লিটনকে বোল্ড করেন মাশরাফি। ২টি করে চার-ছক্কা মারেন লিটন।
এখানেই থেমে থাকেননি মাশরাফি। তিন নম্বরে নামা মাহমুদুল হাসান জয়কেও আউট করেন মাশরাফি। ২৭ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩১ রান করেন জয়।
লিটন-জয়ের সাথে অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাটিংএ ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ১০০ রানে পৌঁছে যায় চট্টগ্রাম।
৩০ বলে হাফ-সেঞ্চুরি তুলে দলকে জয়ের পথে রেখেছিলেন মিঠুন। তবে ১৪তম ওভারের শেষ বলে খুলনার পথের কাটা মিঠুনকে থামান মিডিয়াম পেসার আরিফুল হক। ৩৫ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৫৩ রান করেন মিঠুন।
মিঠুনের বিদায়ের পর চট্টগ্রামের মিডল-অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের দ্রুত ফেরান সাকিব-মাশরাফি-হাসান মাহমুদ জুটি। শেষ পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৪ ওভারে ১৬৩ রানেই গুটিয়ে চট্টগ্রামের ইনিংস।
প্রথম দিকে ৩ ও শেষ দিকে আরও ২ ব্যাটসম্যানকে শিকার করে ম্যাচে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন ওয়ানডেতে দেশ সেরা অধিনায়ক মাশরাফি। ম্যাচ শেষে মাশরাফির বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৪ ওভারে ৩৫ রানে ৫ উইকেট। তাই ম্যাচ সেরার পুরস্কারও উঠেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩৯০ উইকেট শিকারের মালিক মাশরাফির হাতে । এছাড়া হাসান-আরিফুল ২টি করে ও সাকিব ১টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
জেমকন খুলনা : ২১০/৭, ২০ ওভার (জহিরুল ৮০, মাহমুদুল্লাহ ৩০, সাকিব ২৮, মুস্তাফিজ ২/৩১)।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৬৩/১০, ১৯.৪ ওভার (মিঠুন ৫৩, জয় ৩১, মাশরাফি ৫/৩৫)।
ফল : জেমকন খুলনা ৪৭ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা : মাশরাফি বিন মর্তুজা (জেমকন খুলনা)।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat