ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইসের (ইএফডি) মাধ্যমে যারা ভ্যাট প্রদান করবেন, আগামী জানুয়ারি থেকে তাদের ইনভয়েস লটারি করা হবে। আর সেই লটারির মাধ্যমে ভ্যাটদাতাদের পুরস্কার দেবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। ইএফডি জনপ্রিয় করা ও ভ্যাট প্রদানে ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করতে এনবিআর এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ব্যবসায়ীদের জন্য আয়োজিত ‘ইএফডি-এসডিসি’র ব্যবহার এবং উপকারিতা সম্পর্কে অবহিতকরণ’ বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। ঢাকা দক্ষিণ কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার ডা. এস এম হুমায়ুন কবীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভ্যাট নিয়ে ভোক্তা ও ব্যবসায়ী উভয়ের মধ্যে বিরূপ মনোভাব রয়েছে। দোকানির মনোভাব ভ্যাট যেন তার উপর অতিরিক্ত বোঝা, তাকে ভ্যাট দিতে হয়, ভ্যাট দিলে তার ব্যবসা চলে না, ক্রেতা আসে না। আর ক্রেতার বক্তব্য হলো-আমি ভ্যাট দিয়ে আসি। সেই ভ্যাট সরকারের কোষাগারে যায় কিনা তা আমি জানি না।’
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীর কেন মনে হবে ভ্যাট তার উপর বোঝা। ভ্যাট তো ব্যবসায়ী তার লাভের অংশ বা পকেট থেকে দেন না। তিনি বলেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে এই দেশের নাগরিক হিসেবে আপনাকে ভ্যাট দিতে হবে। করের টাকা ছাড়া সরকারের পক্ষে উন্নয়ন করা সম্ভব না। রাজস্ব ছাড়া পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভারের মত উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ব্যবসায়ীদের আশ^স্ত করে রহমাতুল মুনিম বলেন, যত বেশি রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে, তত আমরা ভ্যাটের হার কমাতে পারবো। পুরস্কারের ব্যবস্থা করলে ইএফডির মাধ্যমে জনগণের ভ্যাট দেওয়ার অনীহা দূর হবে। তিনি মনে করেন, যেসব দোকানে ইএফডি আছে, ভোক্তারা সেই সব দোকান খুঁজে পণ্য কিনতে শুরু করবে।
অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) ড. আবদুল মান্নান শিকদার বলেন, ২৫ আগস্ট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ইএফডি ও এসডিসি বসানো হয়েছে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীরা জানান, ক্রেতা ভ্যাট দেয় না। ক্রেতা বলে ব্যবসায়ী চালান দেয় না। ইএফডি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবসায়ী ও ভোক্তার দু:খ দূর হবে। ইএফডি ব্যবস্থা এনবিআর সরাসরি মনিটরিং করছে বলে তিনি জানান।