আজ নির্ধারিত থাকলেও, বাধ্যতামূলক ফিটনেস পরীক্ষায় অংশ নেননি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহনের জন্য ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ হতে আগামী বুধবার বীপ টেস্ট দিবেন সাকিব। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ট্রেনার তুষার কান্তি হাওলাদার।
মূলত তার ফিটনেস পরীক্ষা দু’টি কারণে বিলম্বিত হয়েছে। প্রথমত, কোভিড-১৯ এর ঝুঁকির কারণে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৮০ জন ক্রিকেটারকে ফিটনেস নির্ধারনের জন্য বিপ টেস্টের জন্য আসতে বলা হয়।
করোনা পরীক্ষায় সাকিবের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু স্টেডিয়ামে যারা এসেছেন তাদের করোনা পরীক্ষা করানো হয়নি। তাই অন্যান্য ক্রিকেটারদের সাথে তার পরীক্ষা নেয়ার ঝুঁিক নিতে চায়নি বিসিবি।
দ্বিতীয়ত, আজ জাতীয় দলের ফিজিও জুলিয়ান কালেফাতের সাথে প্রথম দেখা হয়েছে সাকিবের। সবার মত সাকিবকেও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। তাই কালেফােেতর সাথে এক বা দুই সেশন কাজ করবেন তিনি। তারপরও ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে তাকে।
আজ তুষার কান্তি হাওলাদার বলেন, ‘অন্যদের সাথে ফিটনেস পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল সাকিবের। কিন্তু এই ক্রিকেটাররা কোনও কোভিড-১৯ পরীক্ষায় অংশ নেননি। তাই ঝুঁকি আছে। পাশাপাশি দীর্ঘ বিরতির পর ফিরে এসেছিলেন তিনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ফিজিও ট্রেনার তার শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণ করবেন। এতে কিছু সময় লাগতে পারে। এজন্য দু’দিনের জন্য বিলম্বিত হবে সাকিবের ফিটনেস পরীক্ষা।’
ফিটনেস টেস্ট দেরিতে হলেও, সাকিবের বড় কোন সমস্যা হচ্ছে না। কারন আগামী ১২ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু টি-টুয়েন্টি কাপের প্লেয়ার্স ড্রাফট। ঐ আসরে সাকিব খেলতে পুরোপুরি ফিট কি-না তা আগেই জানা যাবে।
এর আগে, আইসিসি কর্তৃক এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথমবারের মত আজ স্টেডিয়ামে এসেছিলেন সাকিব। ৩৭৬ দিন পর নিজেদের প্রিয় মাঠে এসেছিলেন তিনি।