×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০২০-০৩-১২
  • ৬৪২ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
হাম রুবেলার টিকা কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ১৮ মার্চ

দেশব্যাপী নয় মাস থেকে দশ বছর বয়সী ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে হাম-রুবেলার টিকা দেয়া হবে। টিকা দেয়ার এই কর্মসূচি আগামী ১৮ মার্চ শুরু হয়ে শেষ হবে ১১ এপ্রিল।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সভা কক্ষে হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন ২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘৯ মাস থেকে ১০ বছরের নিচে প্রায় ৩ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে এমআর টিকা দেয়া হবে। এ সব শিশুকে ১ ডোজ এমআর টিকা প্রদান কর হবে। এর উদ্দেশ্য হাম-রুবেলা রোগের বিস্তার দ্রুত হ্রাস করা। ক্যাম্পেইনটি দুই ভাগে পরিচালিত হবে। প্রথম সপ্তাহে ১৮ থেকে ২৪ মার্চ এবং ২৮ থেকে ১১ এপ্রিল ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় সপ্তাহ পরিচালিত হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ক্যাম্পেইনের প্রথম সপ্তাহে সারা দেশের ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৮৯টি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণি বা সমপর্যায় পর্যন্ত অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীদের এক ডোজ এমআর টিকা প্রদান করা হবে। আর ক্যাম্পেইনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪ শত ৪৪টি নিয়মিত, স্থায়ী ও অতিরিক্ত টিকাদান কেন্দ্রের মাধ্যমে এমআর টিকা প্রদান করা হবে।
তিনি বলেন, ক্যাম্পেইন শুরুর দিন থেকে শেষদিন পর্যন্ত শুক্রবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এই টিকা প্রদান করা হবে। এই টিকা দানের উদ্দেশ্য নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রম থেকে ২ বছর বয়সের নিচের সকল বাদ পড়া ও ঝরে পড়া শিশুদের খুঁজে বের করে নিয়মিত টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে এমআর টিকা নিশ্চিত করা ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাম রোগ নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ইতোপূর্বে দেশে ২০০৬ সালে ক্যাচ আপ এবং ২০১০ সালে ফলো আপ ক্যাম্পেইন করার ফলে হামের প্রভাব বহুলাংশে কমে গিয়েছিল। ২০১২ সাল থেকে রুবেলা নিয়ন্ত্রণে হামের টিকার সাথে রুবেলা টিকা সংযোজন করে এমআর টিকা দেয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে হাম-রুবেলা দূরীকরণে এমআর ক্যাম্পেইন+ পরিচালিত হয়। কিন্তু পরাগ নিরীক্ষণ তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ সাল থেকে দেশব্যাপী হামের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী ১৮ মার্চ থেকে আবার টিকা দান কর্মসূচি শুরু হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, ঝুঁকিতে থাকা শিশু অর্থাৎ দোকান বা বাজার, কারখানা, রাইস মিল ইত্যাদিতে কর্মরত মায়েদের শিশু, বেদে বহরের শিশু ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু যারা রেল-বাস স্টেশনে ঘুমায়, হাসপাতালে ভর্তি বা মায়েদের সাথে অবস্থানরত শিশু, জেলখানায় মায়েদের সাথে অবস্থানরত শিশু, পতিতালয়ের শিশু, বস্তির শিশু ও দুর্গম এলাকার শিশুদের টিকা প্রদানের জন্য সেসব এলাকায় আলাদা টিকাকেন্দ্র পরিচালিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আলী নুর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মওলা বক্স চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat