×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০১৯-১২-০১
  • ৬৩৪ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
শিশুদের নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় ডে-কেয়ার ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত কার্যকর

শিশুদের তীব্র নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় ডে-কেয়ার ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত কার্যকর এবং এতে হাসপতালে ভর্তির প্রয়োজন কমে যায় ও ব্যয় অর্ধেক হয়।গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা এসব দেখতে পেয়েছেন বলে আজ এক সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এই তথ্য তুলে ধরেছেন।
আজ আইসিডিডিআর,বি সুইজারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব ব্যাসেল এবং যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেনটাকির সহযোগিতায় ঢাকার মহাখালীতে অবস্থিত এর সাসাকাওয়া মিলনায়তনে নিউমোনিয়ার চিকিৎসা গবেষণার ফলাফলের ওপর একটি সেমিনারে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।সেমিনারটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডে-কেয়ার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শিশুদের তীব্র নিউমোনিয়ার একটি উদ্ভাবনমূলক চিকিৎসা পদ্ধতি-সংক্রান্ত গবেষণালব্ধ ফলাফল তুলে ধরেছে।বিজ্ঞানীরা জানান, এই মডেলটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে অক্সিজেন থেরাপি, ফ্লুইড, পুষ্টি ব্যবস্থাপনা এবং অ্যান্টিবায়োটিকের সমন্বয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদিত প্রচলিত চিকিৎসার ব্যবস্থার মতোই কার্যকর, নিরাপদ এবং বেশ ব্যয় সাশ্রয়ী। বাংলাদেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে ডে-কেয়ার ধারণা ভিত্তিক নিউমোনিয়া ব্যবস্থাপনার এই পদ্ধতিটি বেশ সম্ভাবনাময়।সেমিনারে উপস্থাপিত তথ্যে জানা যায়, বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা প্রায় ১২ কোটি বার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়, যার প্রায় ১০%-এরও বেশি (১.৪ কোটি) তীব্র আকার ধারণ করে এবং হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়। উন্নয়নশীল দেশসমূহে শ্বসনতন্ত্রের নি¤œাংশের তীব্র সংক্রমণ (এ,এল,আর,আই), বিশেষ করে নিউমোনিয়া ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ, যা বছরে ৫০ লক্ষ মৃত্যু বা প্রতি পাঁচটি মৃত্যুর একটির দায়ী। বাংলাদেশে ২০১৮ সালে প্রতি ঘণ্টায় একটিরও বেশি শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়, যার ফলে ওই এক বছরে ১২ হাজারের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়।আইসিডিডিআর,বি-র নিউট্রিশন অ্যান্ড ক্ল্যিনিক্যাল সার্ভিসেস ডিভিশনের সিনিয়র ডিরেক্টর ড. তাহমিদ আহমেদ সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদেরকে স্বাগত জানান এবং আইসিডিডিআর,বি-র এমেরিটাস সায়েন্টিস্ট ও গবেষেণাটির প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. নুর হক আলম ২০১৫ থেকে ২০১৯ সময়কালে সংঘটিত এই গবেষণাটি সম্পর্কে তাঁর উপস্থাপনা তুলে ধরেন। অস্ট্রেলিয়ার ডিকিন ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্য অর্থনীতি বিভাগের পিএইচডি শিক্ষার্থী ডা. মারুফা সুলতানা মডেলটির ব্যয় সাশ্রয়ী সম্ভাবনার দিকটির ওপর আলোকপাত করেন। পাথফাইন্ডার বাংলাদেশ-এর সাবেক কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটির অ্যাডজাঙ্কট অধ্যাপক ড. হালিদা আক্তার এ-সংক্রান্ত অন্যান্য ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফলসমূহ উপস্থাপন করেন। যেখানে দেখা গেছে, অপুষ্টিসহ বা ছাড়া তীব্র নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত প্রায় ৯০% শিশুর চিকিৎসা ডে-কেয়ার ক্লিনিকে নিরাপদভাবে করা যায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক পরিচালক ড. খালেদা ইসলাম কিভাবে এই মডেলটিকে সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সন্নিবেশিত করা যায় সেসম্পর্কে তাঁর অভিমত ব্যক্ত করেন।তীব্র নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় ডে-কেয়ার মডেলটির বিভিন্ন সম্ভাবনাময় দিক সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব কেনটাকি-র অধ্যাপক জর্জ ফুশ বলেন, “নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশু, তাঁদের পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার জন্য ডে-কেয়ার মডেলটি একটি তাৎপর্যপূর্ণ অগ্রগতি।”স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ গবেষণার উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, “তীব্র নিউমোনিয়া চিকিৎসায় ডে-কেয়ার মডেল এর ধারণা একটি ভালো উদ্যোগ, ভবিষ্যতে দেশব্যাপী এই মডেলটির প্রসারের উদ্দেশ্যে আমরা শহর ও গ্রামাঞ্চলে এর পাইলট প্রকল্পের সম্ভাব্যতা খুঁজে দেখবো।”এছাড়াও, বাংলাদেশ পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)-র সভাপতি অধ্যাপক (ড.) মঞ্জুর হোসেন এবং সুইজারল্যান্ডের ইউনিসেফ ফাউন্ডেশনের বোর্ডের সদস্য ড. ড্যানিয়েল ফ্রে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।ইউনিসেফ, ইউবিএস অপটিমাস ফাউন্ডেশন, বটনার ফাউন্ডেশন, ইগল ফাউন্ডেশন, আইসিডিডিআর,বি এবং বাংলাদেশ সরকার গবেষণাটি পচিালনায় সহায়তা করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat