স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে আলাদা সেল গঠন করা হচ্ছে।তিনি বলেন, ‘মশা নিয়ন্ত্রণে এবং মশাজনিত স্বাস্থ্যগত সমস্যাগুলোর সমাধানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা একটি সেল করা হচ্ছে। এই সেলের কাজ কি হবে তার খসড়া তৈরি করতে ইতোমধ্যে একজন অতিরিক্ত সচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’আজ রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) মিলনায়তনে আয়োজিত ‘ভেক্টর প্রব্লেমস ইন বাংলাদেশ; এন ইন্টিগরেটেড এপ্্েরাচ’- শীর্ষক এক সেমিনারে মন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) এ সেমিনারের আয়োজন করে।মন্ত্রণালয়ের অধীনে সেল গঠনের প্রয়োজনীয়তা বর্ণনা করে তাজুল ইসলাম বলেন, মশাবাহিত রোগগুলো শুধু শহরে নয়, গ্রামেও হয়। এ মন্ত্রণালয় শহর, নগর, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে কাজ করে থাকে। সেজন্য এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।তিনি বলেন, ‘মশাবাহিত রোগের সমস্যা সমাধানে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। সচেতনতা বাড়াতে হলে পাঠ্য বইয়ে এই বিষয়গুলি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। আমাদের গরুর রচনা পড়ালে চলবে না। সড়কে চলাচলের নিয়মকানুন ও মশাবাহিত রোগসহ জনসচেতনতামূলক নানা বিষয় জাতীয় শিক্ষা বোর্ডের সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাহলে শিশুরা ছোট থেকে বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতন হবে।’সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিজিএসের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। কীটতত্ববিদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক ও সংশ্লিষ্ট পেশাজীবিরা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।