জাতীয় স্বাস্থ্য সেবা সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ব্লকের অডিটোরিয়ামে “চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা” বিষয়ক এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান। সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়া।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও বাস্তবমুখী পদক্ষেপের কারণে দেশের স্বাস্থ্যখাত অনেক দূর এগিয়ে গেছে। মেডিকেল কলেজসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের ৮টি বিভাগে ১টি করে কিডনি এবং ১টি করে ক্যান্সার হাসপাতাল গড়ে তোলা হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজের শয্যা সংখ্যা ৫ হাজারে উন্নীত করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, চিকিৎসা পেশায় দায়িশীলতা ও নৈতিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। চিকিৎসক সমাজের আরো উজ্জ্বল ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে রোগীদেরকে আন্তরিকতার সাথে সেবা দিতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সকলকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, উপজেলা হাসপাতালগুলোতে যাতে রোগীরা এসে সেবা পান সেদিকে আরো নজর দিতে হবে। কর্মস্থলে যাতে সকল চিকিৎসক উপস্থিত থাকেন সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে। সেবা খাতকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছে নিতে সঠিক ব্যবস্থাপনা ও উন্নত নেতৃত্বও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান বলেন, মানবতাবোধ থেকেই রোগীদেরকে আপনজন-আত্মীয় মনে করে সেবা দিয়ে রোগী ও তাঁদের স্বজনদের মুখে হাসি ফোটাতে হবে। চিকিৎসকদের আর্তমানবতার সেবায় নিজেদেরকে উৎসর্গ করতে হবে। “চিকিৎসা সেবায় নৈতিকতা” বিষয়ক আলোচনা স্বাস্থ্যসেবা খাতকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এগিয়ে নেয়ার জন্য করণীয় নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী।
সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ সচিব (স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ) জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব, ডা. মোঃ ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।