গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকায় খেজুর থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
লাইফ স্টাইল ডেস্ক: –গ
র্ভবতী মায়েদের খাবার গ্রহণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সচেতন হতে হয়, তাই তাদের খাদ্য তালিকা হতে হয় বিশেষ। গর্ভবতী মায়েদের খাদ্য তালিকায় খেজুর থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খেজুর এমন একটি খাবার যাতে রয়েছে অভাবনীয় কার্যকরি ক্ষমতা।
# খেজুরে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি উপাদান, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান যা গর্ভের সন্তানের স্বাভাবিক বেড়ে উঠাতে অত্যন্ত সহায়ক।
# খেজুর হজমে অত্যন্ত সহায়ক। সেজন্য ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভবতী মায়েদের জন্য এটি অত্যন্ত নিরাপদ। এমনকি ডায়াবেটিক আক্রান্ত মায়েদের ক্ষেত্রেও।
# খেজুরে রয়েছে পলিফেনোলিক এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়াও এটি প্রাকৃতিক এ্যান্টাসিড হিসাবে কাজ করে। এছাড়াও এতে রয়েছে সহজে দ্রুত রক্তপাত প্রবণতা রোধ করার ক্ষমতা, যা গর্ভবতী মাকে অনেকটাই সুরক্ষিত রাখে।
# খেজুরের রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ কেরোটিন বা এ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা গর্ভবতী মায়েদের দেহে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার যেমন কোলন ক্যান্সার, স্তন ক্যান্সার, প্যানক্রায়েটিক ক্যান্সারের এ্যান্টিবডিক হিসেবে কাজ করে।
খেজুর গর্ভবতী মায়েদের প্রসূতিকালীন ব্যাথা সংক্ষিপ্ত করতে সহায়তা করে
২০১১ সালের “Journal of Obstetnics and Gynocology” নামক পত্রিকায় এক প্রতিবেদনে গবেষণার এই মত প্রকাশ পায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯ মাসের গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন ৬টি করে খেজুর খাওয়ালে খেজুর না খাওয়া মায়েদের তুলনায় তাদের প্রসূতিকালীন ব্যাথা অনেক কম সময় থাকে। তাদের এই গবেষণা ৭০% গর্ভবতী মহিলাদের জন্য এই ফলাফল প্রযোজ্য হয়।
তাই গর্ভবতী মায়েরা প্রতিদিন খেজুর খান। বিশেষ করে ৯ মাসের গর্ভবতী মায়েরা দিনে কমপক্ষে ৬টি করে খেজুর খান। এতে আপনার এবং আপনার অনাগত সন্তানের সুরক্ষা হবে।
# খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রণ যা হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ সঠিক রাখতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম যা শিশুর হাড় ও মাংসপেশী গঠনে সহায়ক।
# গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের বিভিন্ন ধরনের উপসর্গ যেমন কোষ্ঠকাঠিন্যতা, রুক্ষ্মতা এবং পানি শূন্যতা দুর করতে খেজুর খুবই কার্যকরি।