পোর্টস ডেস্ক: –
প্যারিস সেইন্ট জার্মেইনের বিপক্ষে বার্সেলোনা যে এভাবে হেরে যাবে, তা হয়তো কেউ কল্পনাও করতে পারেননি। এক বা দুই গোলে না, চার গোলের ব্যবধানে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় প্রায় নিশ্চিতই হয়ে গেছে কাতালানদের। শিরোপা জয়ের স্বপ্ন টিকিয়ে রাখতে হলে এখন নতুন রেকর্ডই গড়তে হবে মেসি-নেইমার-সুয়ারেজদের।
২০১৩ ও ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে হেরেই বিদায় নিতে হয়েছিল পিএসজিকে। সেই হারগুলোর প্রতিশোধ এবার দারুণভাবেই নিয়েছে ফ্রান্সের শীর্ষ এই ক্লাবটি। আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়ার জোড়া গোলের সুবাদে বার্সেলোনাকে হারিয়েছে ৪-০ গোলের ব্যবধানে। দুর্দান্ত এই জয় দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল প্রায় নিশ্চিতই করে ফেলেছে তারা। তবে বার্সেলোনার সামনেও আছে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ। দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে নিজেদের মাঠে বার্সেলোনা যদি ৫-০ গোলের ব্যবধানে জিততে পারে, তাহলে তারাই চলে যাবে শেষ আটে। কিন্তু সেটা করতে গেলে নতুন রেকর্ড গড়তে হবে ইউরোপের অন্যতম সেরা এই ক্লাবকে। কারণ চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্বে প্রথম লেগে ৪ গোলের ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর কেউই যেতে পারেনি পরবর্তী রাউন্ডে।কাজটা যে সত্যিই কঠিন, তা স্বীকার করে নিয়েছেন বার্সেলোনার কোচ লুইস এনরিকে। তবে তারপরও নিজেদের মাঠে শিষ্যদের কাছ থেকে স্বপ্নের মতো কোনো পারফরম্যান্স দেখার আশা করছেন এই স্প্যানিশ কোচ, ‘পিএসজি তাদের সেরা খেলাটা খেলেছে। আর আমরা খেলেছি সবচেয়ে বাজেটা। এখন আমাদের কাজটা হয়ে গেছে খুবই কঠিন। কিন্তু আমরা নিজেদের মাঠে তো একটা নায়কোচিত পারফরম্যান্স দেখাতেই পারি। স্বপ্ন দেখতে বাধা কোথায়? আমাদের ফুটবলাররা কয়েক বছর ধরেই দেখিয়েছে যে, তারা অসাধারণ ফলাফল নিয়ে আসতে পারে। আমাদের সুযোগ সত্যিই খুব কম। কিন্তু একটা সুযোগ তো সব সময়ই থাকে।’চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনার এমন বাজে হারের ঘটনা সত্যিই বিরল। ২০১৩ সালের সেমিফাইনালে তারা দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরেছিল ৭-০ গোলের ব্যবধানে। তারপর এবারই এমন বড় ব্যবধানে হারের মুখ দেখতে হলো তাদের। বার্সেলোনা এর আগে শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছিল ২০০৭ সালে। সেবার তাদের হারিয়েছিল লিভারপুল।আগামী ৮ মার্চ ন্যু ক্যাম্পে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে মুখোমুখি হবে বার্সেলোনা ও পিএসজি।