বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, সাধারণ মানুষ এই সরকারের বিবেচনায় নেই। কারণ, সাধারণ মানুষের ভোট তো এই সরকারের প্রয়োজন হয় না। ৩০ তারিখের ভোট ২৯ তারিখ রাতেই হয়ে যায়। তাহলে মানুষকে খুশি করার কী দরকার?
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বিএনপি নেতা।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, যারা ফুটপাতে ঘুমায়, যারা ছোট ব্যবসা করে, ছোট চাকরি করে, যারা সাধারণ মানুষ তাদের জন্য এ সরকারের বাজেটে কোনো বরাদ্দ নাই। যাদের দিয়ে ভোট কাটা যায়, যাদের দিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করা যায়, যাদের দিয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়া যায়, তাদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
‘আজকে যদি মায়েরা-বোনেরা কষ্টে থাকে, পেশাজীবীরা কষ্টে থাকে, হুজুররা কষ্টে থাকে, গ্রামে উপজেলায় যারা আছে তারা যদি কষ্টে থাকে তাহলে সুখে আছে কে বাংলাদেশে? সুখে আছে বাংলাদেশের তারা, যারা হাজার হাজার কোটি লুট করে বিদেশে পাচার করেছে। সুখে আছে তারা, যারা সরকারি প্রভাব কাটিয়ে প্রতিদিন লক্ষ-কোটি টাকা উপার্জন করছে। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ আজ নিঃশেষ হয়ে যাচ্ছে।’
সাবেক এ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘শিল্প খাতে গ্যাসের দাম ৪৪ পার্সেন্ট বেড়ে গেছে, যারা গ্যাস দিয়ে কারখানা চালায়, তারা ব্যবসা করতে পারবে না। আর যদি গ্যাস কিনে ব্যবসা করতে হয়, তাহলে উৎপাদিত পণ্যের দাম বেড়ে যাবে। সেটাও এসে আমাদের ওপর পরবে। অর্থাৎ আমরা যারা সাধারণ মানুষ তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে গেছি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘দেশের এ অবস্থার পরিবর্তন চায় মানুষ। সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য আজ আমাদের খালেদা জিয়াকে দরকার। আর এ জন্য আমাদের আন্দোলন-সংগ্রাম করেই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে।’
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। আরো বক্তব্য দেন বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক নূরে আরা সাফা, মহিলা দলের নেত্রী অপর্ণা রায় প্রমুখ।