×
ব্রেকিং নিউজ :
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের আমরা যেন ভুলে না যাই : নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে : জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার হবিগঞ্জে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ওএমএস-এর আওতায় ৪৫ পয়েন্টে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিপণ্য বিক্রি হচ্ছে ‘অপশক্তির দোসরদের গুরুত্বপূর্ণ পদে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছানো সহজ নয়’ আমিরাতের শীর্ষ কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী : রাষ্ট্রদূত ভারত ঐতিহ্যগত ওষুধের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে জ্ঞান বিনিময়ে আগ্রহী নদী বাঁচাতে আবরার ফাহাদের দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের পথ নির্দেশ করবে : নাহিদ ইসলাম দুদক চেয়ারম্যান ও দুই কমিশনারের পদত্যাগ
  • প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-২২
  • ১০১৯ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রতিবন্ধীদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন অ্যাপস বানাতে হবে। তাদের এগিয়ে নেওয়ার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে তাদের বাড়তি সুযোগ দিতে হবে। এসব বলেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। তার মতামত হচ্ছে, দেশে দেড় কোটি মানুষ প্রতিবন্ধী। এদের মূল স্রোতে নিয়ে আসতে হবে, উন্নয়নে কাজে লাগাতে হবে। ২১ এপ্রিল রাজধানী ঢাকার ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জাতীয় আইটি প্রতিযোগিতা ২০১৮-এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতি ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী। তিনি বলেন, জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাবনা রয়েছে এবং এতে আইসিটির মাধ্যমে  প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মানুষের মধ্যে সমতা বিধানের নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশে কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, সিএসআইডি’র নির্বাহী পরিচালক খন্দকার জহুরুল আলম। স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশে কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মাদ এনামুল কবির। প্রতিযোগিতায় প্রতিবন্ধিতার চারটি ক্যাটাগরীর প্রত্যেকটি হতে সেরা ৩ জন করে সেরা ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বিভাগে সেরা তিন জন হলেন নওগাঁ জেলার মো. আব্দুস সোবহান, চাঁদপুর জেলার আসিফ করিম পাটোয়ারী এবং লালমনিরহাট জেলার মো. মোখলেছুর রহমান। শারীরিক প্রতিবন্ধী বিভাগে পুরস্কার প্রাপ্ত তিন জন হলেন টাঙ্গাইল জেলার সুমা আক্তার, ময়মনসিংহ জেলার মো. আনারুল ইসলাম এবং নরসিংদী রহিজুদ্দিন মিয়া। বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী বিভাগে সেরা হয়েছেন তিনজন নারী। এরা হলেন লুৎফুন নাহার মিমু, সোমাইয়া ফেরদৌস মুন্নি এবং মেহেরুন নেসা মুন।  নিউরো ডেভেলপমেন্টাল (অটিস্টিক বা অটিজম) বিভাগে সেরা তিন জন হলেন আহনাফ তাহমিত স্বপ্নিল, এসএম ফেরদৌস ইকরাম এবং অমিত সুজাউদ্দিন তুরাগ। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অমিত সম্ভাবনার অধিকারী দেশের যুব প্রতিবন্ধীদের মধ্যে আইসিটি চর্চা উতসাহিত করতে ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল যুব প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জাতীয় আইসিটি প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকে। শনিবার সকালে বেলুন উড়িয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিসিসির পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন) মোহাম্মাদ এনামুল কবির, সিএআইডির হেড অফ প্রোগ্রামার ইফতেখার আহমেদ, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের হেড অব ডিপার্টমেন্ট অলোক কুমার সাহা প্রমুখ। সারাদেশে থেকে আগত মোট ৬০ জন প্রতিযোগী ৪টি ক্যাটাগরিতে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। ক্যাটাগরিগুলো হলো ক. দৃষ্টি প্রতিবন্ধী খ. শারীরিক প্রতিবন্ধী গ. বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী এবং ঘ. নিউরো ডেভেলপমেন্ট প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক বা অটিজম)। প্রতিযোগিরা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড, এক্সেল, পাওয়ার পয়েন্ট ও ইন্টারনেট-এই চারটি বিষয়ে  প্রতিযোগিতার পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। প্রত্যেক ক্যাটাগরির সেরা তিনজনকে পুরষ্কার হিসেবে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, পাটের তৈরী সামগ্রী এবং স্মার্টফোন প্রদান করা হয়। এ প্রতিযোগিতা আয়োজনে সহযোগিতায় ছিলো সিএসআইডি ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক।  স্পন্সর হিসেবে ছিলো ওয়ালটন কম্পিউটার ও ফিফোটেক।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat