×
ব্রেকিং নিউজ :
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৩-০৭
  • ১৮৫ বার পঠিত
  • নিজস্ব প্রতিবেদক

নবনিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, চীন ও বাংলাদেশ ‘সহজাত সহযোগিতার’ অংশীদার এবং ঢাকা ও বেইজিংয়ের সম্পর্কের সম্ভাবনা ‘সীমাহীন’।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় চীনা দূতাবাসে নতুন দূতের সম্মানে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের সম্ভাবনা সীমাহীন।’
তিনি আরো বলেন, চীন ও বাংলাদেশ সহজাত সম্পর্কের অংশীদার কারণ, উভয়েই উন্নয়নশীল ও বিপুল জনসংখ্যার দেশ।
‘আমাদের মধ্যে কোন অমীমাংসিত বিরোধ কিংবা ঐতিহসিক দায় নেই,’ রাষ্ট্রদূত দাবি করেন।
 তিনি বলেন, একই সঙ্গে চীন ও বাংলাদেশ আঞ্চলিক এবং বহুপাক্ষিক বিষয়ে নিবিড়ভাবে সহযোগিতা ও সমন্বয় করবে যাতে অনিশ্চিত এবং অস্থির বিশে^ আরো স্থিতিশীলতা ও নিশ্চয়তা তৈরি করা যায়।
 অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বৃহৎ প্রকল্পসমূহের সহযোগিতা ঢাকা ও বেইজিংয়ের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে উল্লেখ করে ওয়েন বলেন, ‘চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সহযোগিতা দু’দেশের জনগণের আরো কল্যাণ সাধন করবে।’
তিনি বলেন, এখানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সড়ক, সেতু, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বন্দর এবং অন্যান্য অবকাঠামো প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে যা বাংলাদেশের ভূচিত্রকে নতুন আকার দিয়েছে। এতে ১০ লাখেরও বেশি লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করেছে।   
তিনি আরো বলেছেন, চীন সার্বিক অর্থেই একটি আধুনিক সমাজতান্ত্রিক দেশের দিকে নবযাত্রা করেছে, যেখানে বাংলাদেশ অপরূপ এক স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গঠনে ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করে বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য একে অপরকে বোঝা, বিশ^াস করা এবং সহায়তার ক্ষেত্রে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি ভালো উদাহরণ সৃষ্টি করবে।
তিনি বলেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে দ’ুদেশের জনগণের মধ্যে অন্তরঙ্গতা, অনুরূপ ধারনা ও মূল্যবাধের সহজাত অনুভূতি রয়েছে।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫০এর দশকে দু’বার চীন সফর করেন।
তিনি বলেন, ওই ভ্রমণকালে তিনি যা দেখেছেন, তাতে মুগ্ধ হয়েছেন এবং ‘আমার দেখা নয়া চীন’ নামে একটি ভ্রমণকাহিনী লিখেছেন যা তাঁর চীন সম্পর্কিত সদয় ও উষ্ণ অনুভূতি বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে ও মনে স্থান করে নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং পররাষ্ট্র সচিব (পশ্চিম) শাব্বির আহমেদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া, বাংলাদেশ সরকার, সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দল, উদ্যোক্তা, বিশ^বিদ্যালয়, থিংক ট্যাংক, সংবাদ মাধ্যম, ঢাকায় বিদেশী মিশনসমূহ এবং স্থানীয় চীনা কমিউনিটির চারশ’রও বেশি বিশিষ্ট ব্যক্তি এ অন্ষ্ঠুানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শেষে চীনা দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারা আশা করছে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিভাবকত্বে চীন ও বাংলাদেশ সুস্থ ও স্থিতিশীল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে এবং চীন ও বাংলাদেশের বাস্তব সহযোগিতা এক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে এবং যৌথভাবে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের উদাহরণ সৃষ্টি করবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
#
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat