ডিসেম্বরের মধ্য রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
তিনি বলেন, ‘আশা করছি ডিসেম্বরের মধ্য আমরা এদের তালিকা প্রকাশ করতে পারবো। প্রতিটা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ও জেলা পরিষদের সামনে এবং বিভিন্ন স্থানে রাজাকার ও যুদ্ধাপরধীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে।’
মন্ত্রী আজ মুজিবনগর পর্ষটন মোটেলে আয়োজিত মুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কেন্দ্র প্রকল্পের স্থাপত্য নকশা অনুমোদন সংক্রান্ত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব এস এম আরিফ-উর রহমান। উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, পুলিশ সুপার এস এম মোরাদ আলী সহ সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
মোজাম্মেল হক বলেন মুজিবনগরকে আর্ন্তজাতিক মানের মুক্তিযুদ্ধের তীর্থস্থান হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ইতোমধ্যে ৩৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামী তিন মাসের মধ্য নতুন প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। বেশ কিছু ভাস্কর্য পরিবর্তন করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, মুজিবনগরে পর্যটকদের থাকা খাওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মানের হোটেল মোটেল স্থাপন করা হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতার আন্তর্জাতিক মানের মুর্যাল তৈরী করা হবে। যেসব মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক মুর্যাল আছে তার অনেকগুলো পরিবর্তন করা হবে বলে জানান তিনি।