হাতে আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তার পরই ২২ গজ পেতে চলেছে নতুন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। লর্ডসে ইংল্যান্ড বা নিউজিল্যান্ডের মধ্যে যে কেউ করবে বাজিমাত। অতীতে এই দুই দলই বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখার স্বাদ থেকে বঞ্চিত থেকেছে। এবার তাদের সামনে সুবর্ণ সুযোগ। শেষটায় মরণ কামড় দিয়ে নতুন ইতিহাস লিখতে চাইবেন ইয়ন মর্গান ও কেন উইলিয়ামসনরা। এর আগে এই দুই দলের হেড-টু-হেড এক নজরে দেখে নেওয়া যাক :
১) ১৯৭৩ সাল থেকে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড একে অপরের সঙ্গে খেলছে। ৯০টি ম্যাচ খেলেছে দুই দল। নিউজিল্যান্ড ৪৩ বার ও ইংল্যান্ড জিতেছে ৪১ বার। নিস্ফলা হয়েছে চারবার। এর মধ্যে বিশ্বকাপের আসরে আটবার মুখোমুখি হয়েছে তারা। নিউজিল্যান্ড পাঁচবার ও ইংল্যান্ড জিতেছে তিন বার। সেক্ষেত্রে দেখতে গেলে ক্রিকেটের শো-পিস ইভেন্টে এগিয়ে রয়েছে কিউয়িরাই।
২) চলতি বিশ্বকাপের আগে ইংল্যান্ড তিনবার ফাইনাল, দুবার সেমিফাইনাল ও দুবার করে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ড ১৯৭৫ থেকে বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে ছয়বার সেমিফাইনাল খেলেছে ও একবার ফাইনাল খেলেছে। এই নিয়ে ব্যাক-টু-ব্যাক ফাইনাল খেলছে তারা।
৩) ২০১৯ বিশ্বকাপে গত ৩ জুলাই ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলেছিল নিউজিল্যান্ড। ব্রিটিশরা ১১৯ রানে কিউয়িদের হারিয়ে দিয়েছিল। ইংল্যান্ড প্রথমে ব্য়াট করে ৩০৫ রান তুলেছিল নির্ধারিত ওভারে। নিউজিল্যান্ড মাত্র ৪৫ ওভার ব্য়াট করে ১৮৬ রান তোলে। জনি বেয়ারস্টো ঝকঝকে শতরানের (১০৬) সৌজন্যে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন।
ব্য়াক্তিগত দক্ষতায় কোন কোন খেলোয়াড় ছাপ রেখছেন :
নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিলেরই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রান রয়েছে। নয় ইনিংস মিলিয়ে ইংলিশদের বিরুদ্ধে ৩১৪ রান করেছেন তিনি। তাঁর ব্য়াটিং গড়-৩৫।
ইংল্যান্ডের স্টুয়ার্ট ব্রডই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সফল বোলার। ১০টি ওয়ানডে ইনিংসে তাঁর ১৪টি উইকেট রয়েছে।