রাশেদুল ইসলাম :- রোজা যে শুধু তরুনদের জন্য তা তো নয়। প্রবীণরাও রোজা থাকেন। তবে তাদের কিছু নিয়মের মধ্যে দিয়ে রোজা রাখতে হয়। আর তাদের জন্যই আজকের ডাক্তারী পরামর্শ।
- যদিও যারা প্রবীণ থাকেন, তাদের রোজা থেকে একটা অভ্যস্ততা তৈরি হয়ে যায়। তারপরও তাদের ক্ষেত্রে যে প্রধান সমস্যা থাকে তা হলো, কোন না কোন অসুখ। যেমন: কিডনি, হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস ইত্যাদি। তাই তাদের এসব রোগের সাথে মিলিয়ে চলেই রোজাটাকে রাখতে হবে।
- রোজা রাখার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে ঔষধের ডোজ ঠিক করে নেবেন তারা। তিন বেলার ঔষধকে ডাক্তাররা কখনো কখনো ডোজ বাড়িয়ে দুই বেলা কিংবা ২৪ ঘন্টার ডোজেও এনে দেন।
- প্রবীণদের ক্ষেত্রে চোখের সমস্যাও হয় অনেকসময়। দেখা যায় চোখ জ্বালাপোড়া করছে, খচখচ করছে ইত্যাদি। এগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে হয় পানিশূণ্যতা থেকে। তাই তাদের জন্য অনেক সময় ‘আর্টিফিসিয়াল টিআর’ দেওয়া হয়। এটা হলো চোখের এক ধরণের ড্রপ। যা দিলে চোখে পানির অভাববোধ কম হবে। সুস্থতা অনুভব করা যাবে।
- প্রবীণদের ক্ষেত্রে দেখা যায় বাতের ব্যথ্যা, হাত পায়ের গিটে গিটে ব্যথা থাকে। তাদের যেন রোজা এবং নামাজ পড়তে কষ্ট না হয়, সেজন্য কিছু ব্যথানাশক স্প্রে ডাক্তার তাদের দিয়ে থাকেন। এ ধরণের স্প্রে, মলম যেহেতু শরীরের বহিরাবরণে ব্যবহার করার জন্য, তাই রোজায় কোনো প্রভাব ফেলবে না এবং সুস্থও থাকা যাবে।
- প্রবীণদের ক্যালসিয়ামের সমস্যা থাকে খুব বেশি। তারা ক্যালসিয়াম ঔষধ কম খেয়ে বরং দৈনন্দিন খাবারে বেশি মনোযোগ দিবেন। তারা রোজায় দুধ খাবেন প্রতিদিন। এছাড়া অন্যান্য ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারও খাবেন।
- প্রবীণদের হজমের সমস্যা থাকে খুব বেশি। তাই তারা যদি দেখে তাদের অন্যান্য সমস্যার পাশাপাশি পায়খানার রঙ পরিবর্তন অর্থাৎ খুব কালচে হয়েছে, তবে বুঝতে হবে তাদের পায়খানার সাথে রক্ত যাচ্ছে। তাহলে তারা রোজা রাখবেন না।
- কিডনির সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে রোজা রাখবেন। তাদের ক্ষেত্রে খাবার এবং ঔষধের ডোজটা ঠিক না করে রোজা রাখা মোটেও নিরাপদ নয়।
সর্বোপরি প্রবীণদের যেহেতু শারীরিক সমস্যা বেশি থাকে, ঔষধ খেতে হয় তাই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ ছাড়া কোন ভাবেই রোজা রাখা ঠিক হবে না।
পরামর্শ দিয়েছেন
ডা: নয়নমনি সরকার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।