- প্রকাশিত : ২০১৮-০৪-২৮
- ৭৬৭ বার পঠিত
-
নিজস্ব প্রতিবেদক
স্পোর্ট ডেস্ক:- ১৯৯২ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফরম্যাটে হবে ২০১৯ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলো সবাই খেলবে একে অপরের বিপক্ষে।
বাংলাদেশ দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা জানিয়েছেন, এবারের বিশ্বকাপ হবে আগের সব বিশ্বকাপের থেকে প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ। তাই বিশ্বকাপকে ঘিরে বেশ উচ্ছ্বসিত মাশরাফি। দেশসেরা ওপেনার তামিমের কন্ঠেও একই সুর। তার মতে লম্বা সময়ের জন্য খেলতে হবে বিশ্বকাপ। নিজেদের সেরা পারফরম্যান্স দিলে বাংলাদেশ বিশ্বকাপে ভালো করতে পারবে বলে বিশ্বাস তামিমের।
আজ মিরপুরে তামিম বলেছেন,‘বিশ্বকাপকে ঘিরে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। প্রতিটি টেস্ট খেলুড়ে দেশের সঙ্গে খেলা হবে। ফরম্যাট নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে রোমাঞ্চিত। এটা এমন ফরম্যাট, যদি কোনো দল শিরোপা জিততে চায় পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে সেই দলকে ভালো খেলতে হবে।’
তাই অন্য সব দেশের মতো বাংলাদেশেরও সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে বলে মনে করেন তামিম,‘প্রতিটি দলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। লম্বা সময় ধরে অনেক ম্যাচ জিততে হবে কোয়ালিফাই করতে। ফরম্যাটটা চ্যালেঞ্জিং হবে। আমি খেলতে উন্মুখ। গ্রুপ থাকলে বোঝা যায় কটা ম্যাচ আমাদের জিততে হবে কোয়ালিফাই করতে। গ্রুপে এক-দুইটা ম্যাচ জিতলে কোয়ালিফাই করা সম্ভব। কিন্তু এখানে হয়তো ৫-৬টা ম্যাচ জিততে হবে। এটা অবশ্যই একটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার আমাদের জন্য।’
বিশ্বকাপে ভালো করতে এক বছরেরও বেশি সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ দল। তামিমের মতে নির্দিষ্ট পরিকল্পনায় প্রস্তুতি নিতে পারলে বিশ্বকাপেও ভালো ফল পাওয়া সম্ভব টাইগারদের। তার ভাষ্য,‘বিশ্বকাপে লম্বা সময় ভালো খেলতে হবে। টুর্নামেন্টকে যদি আমরা স্মরণীয় করে রাখতে চাই তাহলে ভালো প্রস্তুতির বিকল্প নেই। বিশ্বকাপের এখনো এক বছর সময় আছে। এই সময়ে যে সিরিজগুলো আছে, আমরা যদি ভালো খেলি, সিরিজ যদি জিতি তবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাওয়া যাবে।’
ইনজুরিতে পড়া তামিম আজই প্রথম দৌড়েছেন। পুর্নবাসন প্রক্রিয়া এখনও চলছে তার। বাঁহাতি ওপেনার ১৩ মের আগেই সুস্থ হয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। সেদিনই শুরু হতে পারে জাতীয় দলের ক্যাম্প।
জাতীয় দল এখন অভিভাবকশূণ্য! হেড কোচ ছাড়াই চলছে দল। বিশ্বকাপের আগে হেড কোচ পাওয়া যাবে কিনা তার নিশ্চয়তা নেই। তামিম অবশ্য বিষয়টিকে দেখছেন ভিন্ন দৃষ্টিতে। তার ভাষ্য,‘আমার কাছে যেটা ভালো লাগছে, তারা (বিসিবি) তাড়াহুড়ো করছে না। চাইলে হুট করে একজন নিয়েও আসতে পারত। তাড়াহুড়ো না করে যাকেই নিয়ে আসুক সময় নিয়ে করছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। যথার্থ কোচকে খুঁজতে সময় নিচ্ছে, এটা ভালো দিক।’
‘খেলোয়াড়দের কথা যদি বলেন, এই ১৯-২০ খেলোয়াড়েরাই হয়তো খেলবে। একটু পরিবর্তন হয়তো হবে। খেলোয়াড়েরা সবাই মানসিকভাবে প্রস্তুত। তারা জানে যে ভিন্ন কন্ডিশনে বিশ্বকাপ খেলতে হবে। এখন যে কোচিং স্টাফ আছে তারা সেভাবেই এগোচ্ছে। বিদেশের মাটিতে কীভাবে আরও ভালো খেলতে পারি, সেভাবেই এগোচ্ছি।’- যোগ করেছেন তামিম।
নিউজটি শেয়ার করুন
এ জাতীয় আরো খবর..