জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। আজ কমিটির সভাপতি শিক্ষাবিদ শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কমিটির এক যৌথ সভায় ১৪ দলের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়।
নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভার শুরুতে সাম্প্রতিক কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় বিলম্বে হলেও যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে প্রস্তাবে বলা হয়, কেবল দল বা সংগঠন হিসেবে নয়, তাদের আদর্শিক ভিত্তি, অর্থাৎ মওদুদীবাদী রাজনীতিকেও নিষিদ্ধ করতে হবে।
সভায় গৃহীত প্রস্তাবে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো ধর্মের নামে যে হত্যা, নির্যাতন ও নৈরাজ্যের অপরাজনীতি চালিয়েছে, সে বিষয়ে তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির সমন্বয়ে একটি কমিশন গঠন করতে হবে। এই কমিশনের মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধী ও সন্ত্রাসী জামাত-শিবিরের নিয়ন্ত্রণাধীন আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর বিষয়ে তদন্ত করতে হবে। ধর্মকে ব্যবহার করে অপরাজনীতির পাশাপাশি মৌলবাদী অর্থনীতির যে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে উঠেছে, সে বিষয়েও তদন্ত করতে হবে কমিশনকে।
সংকটময় মুহূর্তে করণীয় নির্ধারণের জন্য সমমনা সংগঠনগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে কর্মসূচী প্রণয়নের বিষয়েও প্রস্তাব গৃহীত হয় একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এ যৌথ সভায়।