যত বই তত প্রাণ’ স্লোগানে যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে ‘নিউইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা’র ৩৩তম আসর।
স্থানীয় সময় শুক্রবার নিউইয়র্কের জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্টস সেন্টারে ৪ দিনব্যাপী এ মেলা উদ্বোধন করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা।
মেলায় বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী লেখকদের প্রকাশিত প্রায় ১০ হাজার বই নিয়ে ৪০টি স্টল অংশ নিয়েছে।
উদ্বোধনী বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, “বর্তমানে আমরা যে বাংলা ভাষাকে পাচ্ছি- তা উচ্চারিতভাবে, প্রামাণ্যভাবে হাজার বছর ধরে লিখিত আকারে বিবর্তিত হয়ে এসেছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের যে ইনটেনজিবল কালচারাল হেরিটেজ বা অপরিমেয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য রয়েছে- তার প্রথম উপকরণ ভাষা। যে ভাষার নাম আমাদের জন্য বাংলা ভাষা- তা বিবর্তিত হয়েছে এবং তার মাধ্যমেই আমাদের জাতিসত্তা, ব্যক্তিসত্তা ও ধ্বনিসত্তা বিবর্তিত হয়েছে।”
উদ্বোধনী পর্বে সংসদ সদস্য ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, “নিউ ইয়র্কে মুক্তধারার ৩৩ বছর এ মেলা ধরে রাখা এবং প্রথম প্রজন্মের সঙ্গে নতুন প্রজন্মকে একইসূত্রে বেঁধে রাখার এই যে প্রয়াস, তা অবশ্যই সময়ের প্রয়োজনে খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেননা এই যুগসূত্র আমার দেশ, আমার সংস্কৃতি, আমার বই, আমার সাহিত্য সবকিছুতে।”
এসময় অতিথির মধ্যে আরও বক্তব্য দেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৌমিত্র শেখর দে, কথাসাহিত্যিক ফরিদুর রেজা সাগর ও ওয়াশিংটন ডিসিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান।
মেলায় মুক্তিযুদ্ধের চিত্র প্রদর্শনী পর্বের উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারোয়ার আলী। অতিথিদের মেলা কমিটির পক্ষ থেকে উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া মেলার ৩৩তম আসর উপলক্ষ্যে ৩৩ জন অতিথি মঙ্গল প্রদীপ জ্বালিয়ে ৪ দিনের অনুষ্ঠানমালার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন।
এসময় বক্তব্য দেন মেলা কমিটির আহ্বায়ক হাসান ফেরদৌস, মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন নুরুন্নবী ও কার্যনির্বাহী বিশ্বজিৎ সাহা। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি সারা যাকের, ছড়াকার লুৎফর রহমান রিটন, সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও অভিনেতা আফজাল হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শামিম আল আমিন। উদ্বোধনী পর্বে সঙ্গীত পরিবেশন করে বহ্নিশিখা সঙ্গীত নিকেতন, সঙ্গীত পরিষদ, আড্ডা ও উদীচীর শিল্পীরা।