চীনা কোম্পানি মেসার্স উন শেং বিডি কোম্পানি লিমিটেড মোংলা রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (মোংলা ইপিজেড) একটি কম্পোজিট (টেক্সটাইল, গার্মেন্টস ও এক্সেসরিজ) কারখানা স্থাপন করতে যাচ্ছে। মোংলা ইপিজেডে এটিই এ ধরনের প্রথম বিনিয়োগ। প্রতিষ্ঠানটি ফেব্রিক, গার্মেন্টস এবং গার্মেন্ট এক্সেসরিজ পণ্য উৎপাদনে ৮ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।
মোংলা ইপিজেডে শিল্প স্থাপনের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে একক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এটিই প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ বিনিয়োগ।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং উন শেং বিডি কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে আজ সোমবার ঢাকায় বেপজা কমপ্লেক্সে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আলী রেজা মজিদ এবং উন শেং বিডির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি লাই ইয়াং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, এনডিসি, পিএসসি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করেন।
উন শেং বিডি মোংলা ইপিজেডে ওভেন ও নিট ফেব্রিক, প্যাডিং, কুইল্টিং, প্রিন্টিং ফেব্রিক, এম্ব্রোইডারি ফেব্রিক, কোটেড ফেব্রিক, লেমিনেটেড ফেব্রিক, সকল ধরনের ট্যাপ, নিট এবং ওভেন গার্মেন্টস এক্সেসরিজ সামগ্রী উৎপাদন করবে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৫৪২১ জন বাংলাদেশী নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সদস্য (প্রকৌশল) মোহাম্মদ ফারুক আলম, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) আ.ন.ম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. তানভীর হোসেন, নির্বাহী পরিচালক (এন্টারপ্রাইজ সার্ভিসেস) মো. খুরশীদ আলম এবং নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ.এস.এম. আনোয়ার পারভেজসহ প্রতিষ্ঠানটির প্রতিনিধিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পদ্মা সেতু চালুর পরে মোংলা ইপিজেড দেশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এক সময় দেশের অন্য সাতটি ইপিজেডের তুলনায় পিছিয়ে পড়া মোংলা ইপিজেডে সদ্য সমাপ্ত ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মোংলা ইপিজেডে বিনিয়োগের লক্ষ্যে উন শেং বিডিসহ মোট পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করলো বেপজা যাদের প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমান ১৪ কোটি ২৭ লাখ ডলার।
উল্লেখ্য, বর্তমানে মোংলা ইপিজেডে ৩১টি চালু শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৫,০০০ বাংলাদেশী নাগরিক কর্মরত রয়েছেন। এই ইপিজেডে এখন পর্যন্ত ২০ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ হয়েছে এবং এখান থেকে ১১৬ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার সমমূল্যের পণ্যসামগ্রী রপ্তানি করা হয়েছে।