আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নস্যাৎ করতে চাইলে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্নয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
তিনি বলেন, বিএনপি বিদেশি প্রভুর ওপর ভর করে আন্দোলন করছে। আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, নির্বাচন নস্যাৎ করতে চাইলে তাদের সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।
আমির হোসেন আমু আজ সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় ১৪ দল আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসংযোগ, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের প্রবীন নেতা বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০১৪ সালে স্কুল পুড়িয়েছিলো, মানুষ পুড়িয়ে মেড়েছিল, এবার হাসপাতালে হামলা করেছে। বিচার বিভাগকে আক্রমণ করতে প্রধান বিচারপতির বাসভবন আক্রমণ করেছে। পাকিস্তানের সাথে তারা এখনও কো-ফেডারেশন করতে চায়।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আছে বলেই বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা ভোগ করছে, স্বাদ পাচ্ছে। এইদেশে উন্নয়ন হয়েছে শেখ হাসিনার জন্য। কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে। উত্তরবঙ্গে বছরে দুইবার মঙ্গা হতো, এখন তারা মঙ্গা ভুলে গেছে।
আমির হোসেন আমু বলেন, তারা সংবিধানের উপর আঘাত করছে, গণতান্ত্রিক ধারার উপরে আঘাত করছে। আমাদের সজাগ থাকতে হবে। ১৪ দলের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে যাবো। আমরা নির্বাচন ঐক্যবদ্ধভাবে করবো, সেই সরকার আগামী দিনে দেশ পরিচালনা করবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রের মুখোশধারী সন্ত্রাসী দল। জাতীয় ঐক্যের নামে রাজাকার জঙ্গি জামাতের সাথে কোন মিটমাট হবে না। নির্বাচনকে জঙ্গি মুক্ত রাখতে পুলিশ হত্যাকারী, বিচারপতির ওপর হামলাকারীদেরকে আটক করে কারাগারে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা যেভাবে চলছে মার্কিন সহযোগিতায়, বিএনপি জামায়াত ঠিক একই কায়দায় হামলা করেছে। শনিবারের ঘটনায় বিএনপি যে নৃশংস পুলিশ হত্যা, পুলিশ বাসে অগ্নিসংযোগ, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসী-জঙ্গি হামলা চালিয়েছে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বিএনপির ভরসা বিদেশি প্রভু। তাদের ওপর ভর করে আপনাদের আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে। আহ্বান জানাবো, এখনো সময় আছে আন্দোলন-আন্দোলন খেলা বন্ধ করে নির্বাচনে আসুন।
তিনি বলেন, আপনারা অনেক আন্দোলন করেছেন। আন্দোলন-আন্দোলন খেলা শেষ হয়ে গেছে। আপনাদের আন্দোলনের সাথে জনগণের সম্পর্ক নেই। আমরা আগেও বলেছি, যে আন্দোলনে মানুষের সম্পর্ক নেই, সেই আন্দোলন সফল হতে পারে না। আজ তা প্রমাণিত হয়েছে।
সমাবেশে বাংলাদেশের ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাতীয় পার্টি জেপি সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম ও কামরুল ইসলাম, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সমাবেশ সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস।