দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (সিসিসিআই) এবং অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (এবিবিএফ)-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে আজ এ অনুষ্ঠানে চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ এবং অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সভাপতি আব্দুল রতন খান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, এবিবিএফ সভাপতি আব্দুল রতন খান, চেম্বার পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ ও মাহফুজুল হক শাহ, এবিবিএফ পরিচালক মোহাম্মদ রহমান, গ্রেপাস গ্রুপের সিইও নাজমুল হাসান ও বিজনেস ডেভেলপমেন্ট পরিচালক পিটার স্কলেপারিস বক্তব্য রাখেন। এ সময় চেম্বার পরিচালক মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম ও মোহাম্মদ মনির উদ্দিন এবং এবিবিএফ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের এখন সুবর্ণ সময়। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। তৈরিপোশাক রপ্তানি দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের পাদুকা, চামড়া ও চামড়াজাত দ্রব্যও রপ্তানি হচ্ছে। এছাড়াও বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য সামগ্রী, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন, ল্যাপটপ, এগ্রো প্রোডাক্টস, অটোমোবাইল এসেম্বিলিং, হোম এপ্লায়েন্সসহ বিভিন্ন সামগ্রী তৈরি হচ্ছে এবং বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে চমৎকার ব্যবসায়িক পরিবেশ বিরাজমান। বঙ্গবন্ধু টানেল, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দর ও বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কারণে চট্টগ্রাম অচিরেই একটি ট্রান্সশিপমেন্ট হাবে পরিণত হবে। তাই তিনি চট্টগ্রামের ভৌগোলিক সুবিধা ও বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বিনিয়োগের প্রদত্ত বিভিন্ন অবকাঠামোগত সুবিধা ব্যবহার করে অস্ট্রেলিয়ান ব্যবসায়ীদের এদেশে বিনিয়োগের আহবান জানান।
এবিবিএফ সভাপতি আব্দুল রতন খান চিটাগাং চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি ওমর হাজ্জাজকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য চিটাগাং চেম্বারের সাথে একযোগে কাজ করার অনেক সুযোগ রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া সরকার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ট্রেড রিলেশন বাড়াতে চাচ্ছে। বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা অস্ট্রেলিয়ান ফেডারেল সরকারের সাথে কাজ করার এই সুযোগ নিতে পারে। বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করার জন্য আগামী বছর আমরা সিডনি এবং মেলবোর্নে একটি ‘রোড শো’-এর আয়োজন করতে যাচ্ছি। চিটাগাং চেম্বার এই আয়োজনে অংশ নিতে পারে। এতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি।
পরে অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরামের সাথে চিটাগাং চেম্বারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।