গ্যাস উত্তোলন ও সরবরাহের জন্য ২০০৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বাপেক্সের সঙ্গে কানাডাভিত্তিক আন্তর্জাতিক কোম্পানি নাইকোর করা যৌথ উদ্যোগ (জয়েন্ট ভেনচার) চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বহাল রেখে রায় প্রকাশ করলো সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে চার বিচারপতির দেয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ৫৮ পৃষ্ঠায় দেয়া রায়টি লিখেছেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো.আশফাকুল ইসলাম।
আদালতে নাইকো রিসোর্সের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান খান। হাইকোর্টে রিটকারী জ্বালানি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর এম শামসুল আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানজীব উল আলম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
নাইকোর সঙ্গে ২০০৩ সালে করা বাপেক্সের চুক্তি ও ২০০৬ সালের পেট্রোবাংলার সঙ্গে কোম্পানিটির গ্যাস সংক্রান্ত দুটি চুক্তি চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থে ২০১৬ সালে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানিবিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর এম শামসুল আলম রিট পিটিশন দায়ের করেন। প্রাথমিক শুনানির পর বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি কারণ দর্শাতে ২০১৬ সালের ৯ মে রুল জারি করা হয়। রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট হাইকোর্ট রায় দেয়। রায়ে চুক্তি অবৈধ ঘোষণা করে দুই চুক্তির অধীনে যেসব সম্পত্তি আছে, তা জব্দের পাশাপাশি নাইকো বাংলাদেশের সম্পত্তি ও বক্ল-৯ এর সম্পত্তিও জব্দের নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত।
ছাতকে গ্যাস কূপের বিস্ফোরণে ক্ষতিপূরণ না দেয়া পর্যন্ত নাইকোকে কোনো ধরনের পেমেন্ট (মূল্য পরিশোধ) করা যাবে না বলেও রায়ে উল্লেখ করে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে 'লিভ টু আপিল' করে নাইকো রিসোর্স। যেটি ২৩ জুন খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। এখন আপিল বিভাগের দেয়া ৫৮ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হলো।