সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বস্তায় আদা চাষে আগ্রহ বাড়ছে এতে আশানুরূপ ফলনও পাচ্ছে কৃষক। বাড়ির আঙ্গিনায় ঝোপঝাড় বা বাড়ির পাশের পতিত পালানে ও পতিত জায়গায় বস্তায় জৈব সার মিশ্রন মাটি দিয়ে সারি সারি করে আদার চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। বাড়ির আঙ্গিনায় বস্তায় আদা চাষে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে। উপজেলা কৃষি বিভাগ থেকে কৃষকদের বাড়ির আঙ্গিনায় এক টুকরো জায়গা আছে বা একটু খানিক পতিত পালান রয়েছে তাকে কৃষি বিভাগ থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বস্তায় আদা চাষে। এতে উপজেলার কৃষক কৃষাণীরা এই পদ্ধতিতে আদা চাষে উৎসাহ বাড়ছে। অনেকে আবার এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আদা চাষ শুরুও করেছে।
এই পদ্ধতি ব্যবহার করা একজন কৃষকের নিকট থেকে জানা গেছে তিনি তার বাড়ির আঙ্গিনায় ১শত ৭০ টি বস্তায় সে আদা চাষ করছে। চলতি মৌসুমে এই পদ্ধতি ব্যবহার করে আশানুরুপ ফলন পাবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন আদা বীজ, জৈব সার, রাসায়নিক সার, মাটি ও বস্তা সব মিলে খবচ হয় প্রতি বস্তায় ১২ থেকে ১৩ টাকা। তিনি আশা করছেন প্রতিটি বস্তা হতে এক থেকে দের কেজি আদা ফলন পাবে। এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করতে মাঝে মধ্যে পরিচর্যা ছাড়া আর কোনো খরচ করতে
হয় না। তিনি আরো বলেন তার উৎপাদিত আদা সারা বছর পরিবারে খাবারের জন্য রেখে অবশিষ্ট বাজারে বিক্রয় করে পরিবারে আর্থনৈতিক জোগান দিতে পারবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সূবর্ণা ইয়াসমিন সুমী বলেন তার বিভাগ থেকে কৃষকদের বস্তায় আদা চাষে পরামর্শ ও উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের অনাবাদী ও পতিত পালানে বা বাড়ির আঙ্গিনায় আদা চাষের পদ্ধতি শেখানো হচ্ছে। যাতে করে কৃষকেরা এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করে তাদের নিজ পরিবারের চাহিদা মিটাতে পার। এই পদ্ধতিতে আদা চাষ করলে যেমন উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে তেমনি বাজারে আদার দামও কিছুটা কমে যাবে।