আইনের দৃষ্টিতে পলাতক থাকা অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কোনো ধরনের বক্তব্য-বিবৃতি সব ধরনের গণমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে জারি করা রুল শুনানির উদ্যোগ নিয়েছেন রিট পিটিশনার।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে আজ বিষয়টি উপস্থাপিত হয়।
রিটের পক্ষে এডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, তারেক রহমান পলাতক থাকায় সেকশন থেকে রুল এখনও জারি হয়নি। এ কারণে রুল প্রস্তুত হওয়ার পর হাইকোর্ট আমাদের যেতে বলেছেন।
এর আগে ২০১৫ সালের ৬ জানুয়ারি আইনজীবী নাসরিন সিদ্দিকী লিনা হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। রিটে কোনো পত্রিকা, ইলেট্রনিক মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইসে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ, প্রচার, সম্প্রচার, পুনঃউৎপাদন না করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে তথ্য সচিবের প্রতি নির্দেশনা চেয়েছিলেন। রিটে বলা হয়, তারেক রহমান একজন ফেরারি আসামি। তিনি সংবিধান লঙ্ঘন করে ও বে-আইনিভাবে বক্তব্য দিচ্ছেন। একজন ফেরারি আসামির বক্তব্য মিডিয়ায় প্রচার হতে পারে না। যাকে আদালত খুঁজে পাচ্ছেন না, তার বক্তব্য প্রচারযোগ্য নয়। তখন একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার ও প্রকাশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রুল জারি করেন।
রুলে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন বিবাদীদের নির্দেশ দেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে। তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, আইনসচিব, পররাষ্ট্রসচিব, আইজিপি, বিটিভির মহাপরিচালক, বিটিআরসির চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আজ আদালতে এ সংক্রান্ত রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন এডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম, এডভোকেট সানজিদা খানম ও এডভোকেট নাসরিন সিদ্দিকা লিনা।
জারি করা ওই রুল শুনানির জন্য আজ হাইকোর্টে বেঞ্চে প্রার্থনা জানান রিটের পক্ষ। তখন আদালত বলেন, রুল তো এখনও প্রস্তুত হয়নি। আগে রুল প্রস্তুত হোক, তখন আদালতে আসেন।