সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডে (ইডিসিএল) ২০২০-২১ অর্থবছরের অডিট প্রতিবেদনে ৩২টি গুরুতর অনিয়মে সরকারি প্রায় ৪৭৭ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির ঘটনা দুদক বিধি অনুসারে অনুসন্ধান করতে পারবে।
অনুসন্ধান করে তা হাইকোর্টকে জানাতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে জারি করা স্বতঃপ্রণোদিত রুল নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আদালতে এসেনসিয়াল ড্রাগসের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট ড. কাজী আকতার হামিদ, মোতাহার হোসেন সাজু ও আবদুন নূর দুলাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র এডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
সিনিয়র এডভোকেট ড. কাজী আকতার হামিদ আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান।
বিষয়টি নিয়ে জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন নজরে আনার পর গত ১২ মার্চ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ আদেশ দিয়েছিলেন। এরপর দুদক অনুসন্ধান শুরু করে।
গত ১১ মার্চ দৈনিক পত্রিকাটিতে ‘দুর্নীতির আখড়া এসেনশিয়াল ড্রাগস সরকারি অডিটে ৩২ অনিয়ম, ৪৭৭ কোটি টাকা লোপাট’ শীর্ষক শিরোনামে প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এ এক সরকারি অর্থ লুটপাটের স্বর্গরাজ্য। ক্যান্টিন বন্ধ। কিন্তু বিল তোলা হয়েছে ভর্তুকির। কাঁচামালের তুলনায় ওষুধের উৎপাদন কম দেখিয়ে করা হয়েছে তছরুপ। বিধি লঙ্ঘন করে টেন্ডার প্রদান। বিনা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এডহক ভিত্তিতে নিয়োগ বাণিজ্য এমন কোনো অনিয়ম নেই যা হয়নি এখানে। এটি দেশের একমাত্র সরকারি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগ্স কোম্পানি লিমিটেডে (ইডিসিএল)। শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান এটি। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত প্রতিষ্ঠানটিতে সরকারি অডিটেই আর্থিক বড় দুর্নীতির চিত্র উঠে এসেছে। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের অডিট প্রতিবেদনে ৩২টি গুরুতর অনিয়মে সরকারি ৪৭৭ কোটি ৪১ লাখ ৯১ হাজার ৩৭৮ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটিতে।