জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার ঘটনাটি পৃথিবীতে অন্যতম চরম নিষ্ঠুর মানবতার লঙ্ঘন ছিল উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, এত বড় নিষ্ঠুর, মানবতার লঙ্ঘন বিশ্বে আর হয়েছে কি-না আমার জানা নেই।
তিনি বলেন, একাত্তরের পরাজিত সেই পরাশক্তি বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে ভেবেছিল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশে হয়তো আর স্বাধীনচেতা মানুষ বা জনগণের কল্যাণ করার মতো কেউ থাকবে না। বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারীকে নিয়ে তাদের ভয় ছিল। সেই কারণে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সকল সদস্যকে নিমর্ম হত্যাকান্ডের শিকার হতে হয়েছিল।
হানিফ আজ সকালে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ কৃষকলীগ আয়োজিতস্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সৌভাগ্যসেদিন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ছোট বোন শেখ রেহানা বিদেশে থাকার কারণে প্রাণে বেঁঁচে গিয়েছিলেন। পরে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে এদেশের মানুষকে নিয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন এবং বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন।
হানিফ বলেন, আজকে এখনো বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারীকে নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। একাত্তরের সেই পরাজিত এবং পঁচাত্তরের সেই ঘাতক শক্তি এখনো তৎপর। তারা এখনো বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তারাধিকারীকে ভয় পায় এবং যার কারণে তারা ষড়যন্ত্র করছে কীভাবে বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারীকে সরিয়ে দেয়া যায়।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, কৃষক লীগের সমাবেশ এই থেকে গোটা জাতিকে আহ্বান জানাবো, আমরা কোন ষড়যন্ত্র আর এই বাংলাদেশে বাস্তবায়ন হতে দিব না। এটা ‘৭৫ নয়, এটা ২০২৩ সাল। পঁচাত্তরে যে ষড়যন্ত্র করে পার পেয়ে গেছেন ২০২৩ সালে সেই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করার কোনো সুযোগ নেই।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোশাররফ হোসেন, মতিয়া চৌধুরী ও ড. আবদুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এমপি।