সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, বিচার বিভাগকে গতিশীল করে দ্রুততম সময়ে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে বিচারকদের তাগিদ দেয়া হচ্ছে। আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মামলা জট সহনশীল মাত্রায় আনার পরিকল্পনায় বিচার বিভাগ কাজ করছে। জুডিশিয়াল দুর্বল হলে সে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী রাষ্ট্র বলা যাবে না।
শনিবার সকালে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে বিচারপ্রর্থীদের বিশ্রামাগার ন্যায় কুঞ্জের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরো বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অনেক ত্যাগের বিনিময় আমরা পেয়েছি স্বাধীন বাংলাদেশ। জাতির দায়িত্ব সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, পাখির যেমন দুইটি পাখা তেমনি বিচারের ক্ষেত্রে একটি পাখা বিচারক আরেকটি পাখা আইনজীবি। উভয়ের সমন্বয়েই বিচার কাজ স্বল্প সময়ে সঠিকভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব। বেশী টাইম পিটিশান দিলে বিচার কার্য দর্ঘিসুত্রিতার সৃষ্টি হয়, কাজেই টাইম পিটিশান কমাতে হবে। পরিশ্রম সততা এবং সেবার মনোভাব থাকলে ভালো আইনজীবি হওয়া সম্ভব। জনগণ যাতে সহজে স্বল্প সময় ও কম খরচে ন্যায় বিচার পায় তা নিশ্চিত করতে আমরা চেষ্টা করছি।
পরে, প্রধান বিচারপতি পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে একটি বকুল ফুলের চারা রোপণ করেন ও আদালত চত্বরের পাশে জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এর পরে তিনি স্থানীয় আদালতের বিচারকদের সঙ্গে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক করেন।
দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির কনফারেন্স রুমে আয়োজিত আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন। পাবনা জেলা বার সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান মুক্তারের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবু সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রীম কোর্টের রেজিস্ট্রার গোলাম রব্বানী, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিষ্ট্রার মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান, আপীল বিভাগের রেজিষ্ট্রার মোহম্মদ সাইফুর রহমান, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচারক) এস.কে.এম তোফায়েল হাসান, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মো. আরিফুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বার কাউন্সিলের ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান এ্যাড. রবিউল আলম বুদু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতিকে ফুলের শুভেচ্ছা দিয়ে বরণ করেন পাবনা জেলার সিনিয়ার জেলা ও দায়রা জজ বেগম শামীম আহম্মেদ, পাবনা বিচার বিভাগের বিভিন্ন কার্যক্রমের উপর সামগ্রিক বিবরণী উপস্থাপন করেন বিজ্ঞ যুগ্ম জেলা জজ অর্থঋণ আদালত আব্দুল্লাহ আল আমিন ভুইয়া।