দেশের কারাগারগুলোতে শূন্যপদে এক মাসের মধ্যে চিকিৎসক নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিষয়টি নিয়ে শুনানির সময় আদালত বলেছেন, কারাগারে অধিকাংশ গরিব মানুষ থাকে। চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে এই গরিব মানুষগুলোকে বাঁচান। ক্ষমতা অপব্যবহারের জন্য না, ক্ষমতা মানুষের সেবার জন্য বলে মন্তব্য করেন আদালত।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে বিষয়টি নিয়ে আজ শুনানি হয়। রিটের পক্ষের এডভোকেট মো. জে আর খান রবিন বাসসকে এ কথা জানান।
কারা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট শফিকুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান ও সহকারী এটর্নি জেনারেল সেলিম আজাদ।
আইনজীবী মো: জে আর খান রবিন আদালতে বলেন, কারাগারে শূন্যপদে এখনও চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়নি। তখন আদালত বলেন, বাংলাদেশে তো ডাক্তারের অভাব নেই। রাস্তায়ও ডাক্তার ঘুরতে দেখা যায়। বেসরকারি মেডিকেল থেকেও অনেকে ডাক্তারি পড়ছেন। কারা অধিদপ্তরের আইনজীবী বলেন, ১৪১ পদের মধ্যে ১২৫ জন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বাকী পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য আমরা তাগাদা দিচ্ছি।
আদালত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চিঠি চালাচালি থেকে বের হয়ে দ্রুত নিয়োগ দিন। এতোদিনেও আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন করতে পারলেন না। ক্ষমতা অ্যাবিউজ করার জন্য না, ক্ষমতা মানুষকে সেবার জন্য। এটা মনে রাখবেন।
আদালত বলেন, কারাগারে তো গরিব মানুষ থাকে। ধনীরা কারাগারে গেলেও তাদের জন্য ডিভিশনের ব্যবস্থা থাকে। তাই কারাগারে দ্রুত চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে গরিব মানুষকে বাঁচান। এরপর আদালত এক মাসের মধ্যে কারাগারের শূন্য পদে চিকিৎসক নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেন।