আসন্ন এশিয়া কাপ নিয়ে অনিশ্চিয়তার মধ্যেই ভারতের মাটিতে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা চায় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ভারতীয় বার্তা সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া(পিটিআই) প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে।।
আগামী এশিয়া কাপের আয়োজক পাকিস্তান। রাজনৈতিক কারনে এশিয়া কাপ খেলতে পাকিস্তানে যেতে রাজি নয় ভারত। এজন্য ভারতের মাটিতে আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপ না খেলার হুমকিও দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এ অবস্থায় সমস্যা সমাধানে পাকিস্তান সফর করেছেন আইসিসি চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে ও প্রধান নির্বাহি জিওফ অ্যালার্ডিচ।
বার্কলে ও অ্যালার্ডিসের মূল লক্ষ্য, এ বছরের শেষ দিকে ভারতে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের ম্যাচের জন্য হাইব্রিড মডেল বাস্তবায়নে পিসিবি কোন চাপ না দেয়ার নিশ্চয়তা। একটি সূত্র পিটিআইকে জানিয়েছে, আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপে পাকিস্তান জাতীয় দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে পিসিবির নিশ্চিয়তা পেতেই লাহোরে এসেছেন বার্কলে ও অ্যালার্ডিস।
রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন দল এশিয়া কাপের জন্য পাকিস্তান সফর না করলে ভারতে বিশ্বকাপ খেলবে না বাবর-রিজওয়ানরা, এমনটা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি। এরপরই পাকিস্তান সফরে এসেছেন আইসিসির প্রধান শীর্ষ কর্মকতারা।
সূত্র মতে. পিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির প্রধান নাজাম শেঠির হাইব্রিড মডেল নিয়ে উদ্বিগ্ন আইসিসি এবং বিশ্বকাপের আয়োজক বোর্ড ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। আরও জানানো হয়েছে, ‘বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপের জন্য হাইব্রিড মডেলের পরামর্শ দিয়েছেন শেঠি। মডেলটি যদি আঞ্চলিক প্রতিযোগিতার জন্য গ্রহণ করা হয়, তাহলে ভারতে বিশ্বকাপ খেলার জন্য এটি আইসিসিকে বাস্তবায়ন করতে বলবে পিসিবি।’
সরকারের কাছ থেকে অনুমতি না পেলে ভারতে পাকিস্তান দল পাঠানোর বিষয়ে নিরাপত্তার উদ্বেগ থাকে বলে ইতোমধ্যেই ইঙ্গি দিয়েছেন শেঠি। এতে পাকিস্তানের ম্যাচগুলো নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজনের জন্য আইসিসিকে বলতে পারে।
‘স্বাভাবিকভাবেই আইসিসি এবং বিসিসিআই এমন পরিস্থিতি চায় না। কারণ এমনটা না হলে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ ও টুর্নামেন্টের সাফল্যের নিশ্চিয়তা দিবে।’
অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, এই কারণেই এশিয়া কাপের হাইব্রিড মডেল গ্রহণ করছেন না বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। এতে তিন বা চারটি ম্যাচ পাকিস্তানে ও বাকি ম্যাচগুলো সংযুক্ত আরব আমিরাত বা শ্রীলংকায় খেলতে হবে।
পিসিবির প্রধান শেঠি বারবার বলেছেন, পাকিস্তানের পরিবর্তে এশিয়া নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হলে তাতে অংশ নিবে না পাকিস্তান।
তিনি আরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, পাকিস্তান যদি এশিয়া কাপের কিছু ম্যাচ আয়োজন করতে না পারে তবে বিশ্বকাপে খারাপ প্রভাব পড়বে।
আরও বলা হয়েছে, ‘পিসিবি এবং বিসিসিআইয়ের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করছে আইসিসির কর্মকর্তারা এবং এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ নিয়ে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করছে তারা।’