সুপ্রিমকোর্ট ও আইনজীবী সমিতি ভবন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে সব অপারেটরকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ নির্দেশ দেন।
একইসঙ্গে সুপ্রিমকোর্ট ও আইনজীবী সমিতি ভবন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং এই সেবা নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না জানতে চেয়ে- রুল জারি করেছেন আদালত।
বিটিআরসি ও সকল মোবাইল অপারেটর কোম্পানিকে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে বিবাদীদের এ সংক্রান্ত অগ্রগতি প্রতিবেদন এফিডেভিট আকারে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব। এর আগে সুপ্রিমকোর্ট ও আইনজীবী সমিতি ভবন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক নিশ্চিত করতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর সুপ্রিমকোর্ট ও আইনজীবী সমিতি ভবন এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক সেবা চেয়ে দেশের সব বেসরকারি টেলিকম অপারেটরের কাছে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
ল' অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টে নামের একটি সংগঠনের পক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব ও ইমরুল কায়েস খান ই-মেইলে এই নোটিশ পাঠান। ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, বিটিআরসি, গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকের কাছে পাঠানো হয়।
নোটিশে বলা হয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট হচ্ছে বিচারপ্রার্থীদের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল। এখানে হাজার হাজার আইনজীবী তাদের পেশাগত কাজ করেছেন। বিচারপ্রার্থীসহ দেশের অসংখ্য মানুষ প্রতিদিন এই অঙ্গনে আসছেন। শতাধিক বিচারপতি তাদের বিচারিক কাজ করছেন। এখানে আগত প্রত্যেকেই তাদের প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন অপারেটরের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করেন। এতে আরও বলা হয়, পেশাগত কাজে অনেকেই তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। সম্প্রতি এই অঙ্গনে সব অপারেটরের নেটওয়ার্ক না থাকায় কাজে বিঘœ ঘটছে; একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এ অবস্থায় দ্রুত এ সমস্যার সমাধান প্রয়োজন। নোটিশ দেয়ার পরও নেটওয়ার্ক সমস্যা সমাধান না হওয়ায় হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।