তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশের বিষয় নিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়া দেশবিরোধী কাজ।
আজ দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ উত্তর শুভেচ্ছা বিনিময় ও সমসাময়িক বিষয়ে আলোচনাকালে বিএনপি প্রস্তাবিত রাজনৈতিক বিষয়ে বিদেশিদের মধ্যস্থতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশ আমাদের। এই দেশের মালিক দেশের জনগণ। এ দেশের সরকার নির্বাচিত করার, সরকারকে বিদায় দেয়ার দায়িত্ব কিম্বা ক্ষমতা বা এখতিয়ার শুধু এ দেশের জনগণের। এ দেশের সরকার পরিবর্তনের এখতিয়ার বিদেশি কোনো রাষ্ট্রের নাই এবং এটি বিদেশিদের কাজও নয়। যে রাজনৈতিক দল বা যে রাজনৈতিক নেতারা ক্ষণে ক্ষণে দেশের বিষয় নিয়ে বিদেশিদের কাছে ধর্ণা দেয়, বিদেশিদের হাতে পায়ে ধরে, সেটি দেশবিরোধী কাজ। বিএনপি যদি এ কথা বলে থাকে, সেটি দেশবিরোধী বক্তব্য।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটি আমাদেরকেই সমাধান করতে হবে। অতীতেও আমরাই সমাধান করেছি। বিএনপির কোনো বক্তব্য থাকলে তারা নির্বাচন কমিশনে বলতে পারে। তাদের যদি কোনো বক্তব্য থাকে, তারা যদি সরকারের সাথে কথা বলতে চায়, সেটাও তারা বলুক। কিন্তু বিদেশিদের কাছে গিয়ে আমাদের বিষয়া নিয়ে ধর্ণা দেয়া দেশবিরোধী কাজ।’
এ সময় পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই দেশ রচনার, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার সার্থকতাটা সেখানেই যে, পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে আমরা অনেক এগিয়ে গেছি। যে পাকিস্তানিদের অনেকেই আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধের পর বলেছিল, ‘ভুখা বাঙালি চলে গেছে, খুব ভালো হয়েছে’। আর আজকে সেই পাকিস্তান, পাকিস্তানের জনগণ, রাজনীতিবিদরা এমন কি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও আমাদের দিকে তাকিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের দেশে যে রাজনীতিবিদরা পাকিস্তানপন্থী কিম্বা পাকিস্তানপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলো তাদেরই সন্নিবেশ ঘটিয়ে বিএনপি তৈরি হয়েছে। আর ফখরুল সাহেবও যে পাকিস্তানপন্থী, ক’দিন আগে ‘পাকিস্তানই ভালো ছিলো’ বলে সেটা উনি প্রমাণ করেছেন। যে পাকিস্তানে রমজানের সময় ১৬ জন পদদলিত হয়ে মারা গেছে, যে পাকিস্তানের মূল্যস্ফীতি ৩১ শতাংশের ওপরে, যে পাকিস্তানকে আইএমএফ-বিশ্বব্যাংক ঋণ দিচ্ছে না, সেই ‘পাকিস্তানই ভালো ছিলো’ বলেছেন ফখরুল সাহেব। তাদের এখান থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত এবং সবসময় তারা যে আমাদের সরকারের অহেতুক সমালোচনা করেন সেটি বন্ধ করা উচিত।’