রোগী বহনকারী বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সকে বাণিজ্যিকীকরণের বিষয়ে বিআরটিএর নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বেসরকারি এক অ্যাম্বুলেন্স মালিকের আনা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেয় উচ্চ আদালত।
বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এস এস আরেফিন জুননুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।
চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব, আইজিপি, বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ, ৯৯৯ কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্স মালিক শরিফুল আলম মেহেদী রিটটি দায়ের করেন।
রিটের পক্ষে আইনজীবী এস এস আরেফিন জুননুন আজ জানান, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৩০ ধারায় রুট পারমিট হতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত পরিবহন যানের কথা বলা হয়েছে। ৩০ (১) ধারায় বলা হয়েছে, এই অধ্যায়ের অধীন রুট পারমিট সংক্রান্ত বিধান নিম্নবর্ণিত পরিবহনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না, যথা: (ঙ) মরদেহ বহন ও সৎকারে নিয়োজিত পরিবহনযান। ৩১ (১) ধারায় বলা হয়েছে, রুট পারমিট প্রযোজ্য নহে, এরূপ কোনো মোটরযানের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না: তবে শর্ত থাকে যে, রুট পারমিট ব্যতীত, চালনা করা যায় এরূপ মোটরযানকে কর্তৃপক্ষ বিশেষ ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিতে পারবে।
এর ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এই উপ-ধারায় ‘বিশেষ ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম’ বলতে ব্যক্তিগত মোটরযানকে নির্ধারিত শর্তাধীনে ভাড়ায় চালনা করাকে বুঝাবে।
তিনি বলেন, কিন্তু বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ ওই বিধান প্রতিপালন না করেই বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্সসহ সরকারি অ্যাম্বুলেন্সকে ভাড়ায় চালানো যাবে না মর্মে রেজিস্ট্রেশন দিয়ে থাকে। যা আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে অ্যাম্বুলেন্সকে বাণিজ্যিকরণের বিষয়ে বিআরটিএ'র নিষ্ক্রিয়তাকে চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করি। আদালত শুনানি শেষে বিষয়টি নিয়ে রুল জারি করে আদেশ দেয়।