সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দারকে দেশের জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারদের মনিটরিং-এর জন্য মনোনিত করে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি।
সুপ্রিমকোর্টের রেজিষ্ট্রার জেনারেল মোঃ গোলাম রাব্বানী স্বাকাষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি দেশের ৬৪ জেলার লিগ্যাল এইড অফিসারদের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও নিবিরভাবে পর্যবেক্ষণসহ প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদানে সুপ্রিমকোর্র্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দারকে দেশের জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারদের মনিটরিং-এ মনোনয়ন দিয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন। কমিটিকে সাচিবীক সহায়তা দেবেন সুপ্রিমকোর্র্ট লিগ্যাল এইড অফিসার (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) ফারাহ মামুন।
২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি দেশের নিম্ন আদালত মনিটরিং এ আট বিভাগের জন্য ৮ টি কমিটি গঠন করে দেন প্রধান বিচারপতি। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের এসব মনিটরিং কমিটির প্রধান করে কমিটিগলো গঠন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ৬৪ জেলার লিগ্যাল এইড অফিসারদের কার্যক্রমকে আরো গতিশীল ও নিবীরভাবে পর্যবেক্ষণসহ প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা প্রদানে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান বিচারপতি নাইমা হায়দারকে দেশের জেলা লিগ্যাল এইড অফিসারদের মনিটরিং-এ গঠিত কমিটির জন্য মনোনয়ন দিয়ে এ কমিটি গঠন করা হলো।
হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দারকে সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে গত ১২ জানুয়ারি নিযুক্ত করেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। সুপ্রিমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির প্রথম নারী চেয়ারম্যান হলেন বিচারপতি নাইমা হায়দার।
আওয়ামীলীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল, অসমর্থ বিচারপ্রার্থী জনগনকে সরকারি খরচে আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন-২০০০’ প্রনয়ণ করে। ২০০০সালে তৎকালীন শাসন আমলে আইনটি প্রনয়ণ করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার। তারপরের সরকার গুলো আইনটি কার্যকরে উল্লেখযোগ্য কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠনের পর আওয়ামীলীগ দরিদ্র ও অসচ্ছল জনগণের বিচারপ্রাপ্তি নিশ্চিতে আইনটি কার্যকরে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং তা অব্যাহত রয়েছে।