নিকোলাস পুরান-রোমারিও শেফার্ডের ব্যাটিং ও আলজারি জোসেফের দুর্দান্ত বোলিং নৈপুন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
গতরাতে সিরিজ নির্ধারনী তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭ রানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতলো ক্যারিবীয়রা। প্রথম টি-টোয়েন্টি ৩ উইকেটে জিতেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিশ^ রেকর্ডের দ্বিতীয় ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতে সিরিজে সমতা এনেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা।
জোহানেসবার্গে তৃতীয় ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করতে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাট হাতে নেমে ১৯ বল খেলে ৩৯ রান তুলে বিচ্ছিন্ন হন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং ও কাইল মায়ার্স। ১০ বলে ১৭ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ফিরেন মায়ার্স।
আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান জনসন চার্লস খালি হাতে ফিরলে তৃতীয় উইকেটে কিংয়ের সাথে ৩০ বলে ৫৫ রান যোগ করেন পুরান। ১১তম ওভারে ১১০ রানের মধ্যে কিং-পুরান-অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৫ বলে ৩৬ রান করেন কিং। ১৯ বলে ৪১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পথে ২টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন পুরান।
এরপর ১৬তম ওভারে ১৬১ রানে অষ্টম উইকেট পতনের পর উইকেটে আসেন পেসার শেফার্ড। প্রথম ১২ বলে ১০ রান তুলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদার করা শেষ ওভারে ৩টি ছক্কা-১টি চার ও ২টি ২ রানে ২৬ রান তুলেন শেফার্ড। এতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ২২০ রানের বড় সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আগের ম্যাচে ২৫৮ রান করেও ম্যাচ হেরেছিলো ক্যারিবীয়রা।
২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২২ বলে অপরাজিত ৪৪ রান করেন শেফার্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার লুঙ্গি এনগিডি-রাবাদা-এনরিচ নর্টি ২টি করে উইকেট নেন।
২২১ রানের টার্গেটে ভালো শুরু করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। দলীয় ৩২ রানে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান কুইন্টন ডি কককে (২১)থামান জোসেফ। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৩৯ বলে ৮০ রানে প্রোটিয়াদের লড়াইয়ে রাখেন ওপেনার রেজা হেনড্রিক্স ও রিলি রুশো। ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২১ বলে ৪২ রান করা রুশোকে শিকার করে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দারুণ ব্রেক-থ্রু এনে দেন হোল্ডার।
এরপর ডেভিড মিলার ও অধিনায়ক আইডেন মার্করামের সাথে ৪৪ বল থেলে ৩৭ রানের দু’টি জুটি গড়েন হেনড্রিক্স। মিলার ১১ রানে আউট হন।
শেষ ২ ওভারে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৫ রান দরকার পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৯তম ওভারে চতুর্থ ও শেষবারের মত আক্রমনে এসে ৯ রান খরচ করে ৩ উইকেট নেন জোসেফ। ১১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৪ বলে হেনড্রিক্স ৮৩, হেনরিচ ক্লাসেন ৬ ও ওয়েন পারনেল ২ রান করে জোসেফের শিকার হন।
শেষ ওভারে ২৬ রানের দরকারে পুরো ৬ বল খেলে ১৮ রান নিতে পারেন মার্করাম। ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ২১৩ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪টি চারে ১৮ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থেকেও দলের হার এড়াতে পারেননি মার্করাম। ৪০ রানে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে প্রথমবারের
য়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতলেও, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়।