টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার যে সুবিধা, সেটা শুরুতে আদায় করতে পারেনি আয়ারল্যান্ড। বরং, উল্টো বাংলাদেশের দুই ওপেনারই চেপে বসেছিলো আইরিশ বোলারদের ওপর। দুই ওপেনার মিলে ৭.১ ওভারে গড়ে ফেলে ৯১ রানের বিধ্বংসী এক জুটি। মাত্র ২৩ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন লিটন দাস।
তবে আফসোস তার জন্য। উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়ার পর নিজের হাফ সেঞ্চুরিটা পূরণ করতে পারেননি। আউট হয়ে যান হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৩ রান দুরে থাকতে। ক্রেইগ ইয়ংয়ের বলে ৮ম ওভারের প্রথম বলে পল স্টার্লিংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হয়ে যান লিটন। ৪টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
লিটন দাস আর রিন তালুকদারের উড়ন্ত সূচনার পর মাঠে নেমে নাজমুল হোসেন শান্তও ধারাবাহিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করেন। ১৩ বলে ১৪ রান করে উইকেটে সেট হওয়ার চেষ্টা করছিলেন তিনি। কিন্তু হ্যারি টেক্টরের বলে স্ট্যাম্পিং হয়ে গেলেন শান্ত। ১১৮ রানের মাথায় পড়ে দ্বিতীয় উইকেট।
তবে লিটন আর শান্ত আউট হয়ে গেলেও রনি তালুকদার তার বিধ্বংসী ব্যাটিং অব্যাহত রেখেছেন। মাত্র ২৪ বলেই হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তিনি। এ রিপোর্ট লেখার সময় তিনি অপরাজিত ৩৩ বলে ৬২ রানে। তার সঙ্গে ৭ বলে ১৩ রান নিয়ে ব্যাট করছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। বাংলাদেশের রান এ সময় ১২.৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৬।
বাংলাদেশ একাদশ
লিটন দাস (উইকেটরক্ষক), রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারী, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান এবং হাসান মাহমুদ।
আয়ারল্যান্ড একাদশ
পল স্টার্লিং (অধিনায়ক), রস অ্যাডেয়ার, লরকান টাকার (উইকেটরক্ষক), হ্যারি টেক্টর, কার্টিস ক্যাম্ফার, জর্জ ডকরেল, গ্যারেথ ডেলানি, মার্ক অ্যাডেয়ার, ক্রেইগ ইয়ং, গ্রাহাম হিউম এবং বেন হোয়াইট।