হযরত শাহজালাল আর হযরত শাহ পরানের পূন্যভুমি সিলেট থেকে থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম। ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি। তামিম ইকবালের জায়গায় সাকিব আল হাসান। পালাবদলের পালায় টিম বাংলাদেশ। আগামীকাল ২৭ মার্চ সাগরিকার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরু হবে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।
তার আগে আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসেও সাগরিকায় ছিল টিম বাংলাদেশের শেষ অনুশীলন; কিন্তু টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর ২৪ ঘণ্টা আগেও শেষ অনুশীলনটা হলো দায়সারা গোছের।
অধিনায়ক সাকিব আল হাসান, ওপেনার লিটন দাস আর নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ওঠা অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ ছিলেন না রোববারের অনুশীলনে।
যেহেতু অধিনায়ক সাকিব অনুশীলনেই আসেননি, তাই টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে স্বাগতিকদের হয়ে অফিসিয়াল প্রেস মিটে কথা বললেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
শেষ প্র্যাকটিসে সেশনে অধিনায়কের না থাকা অবশ্য নতুন কিছু নয়। এর আগেও সাকিব সিলেটে শেষ দুই ওয়ানডের আগের দিন প্র্যাকটিসে ছিলেন না। দু’দিনই তিনি ঢাকায় কোন না কোন বাণিজ্যিক অনুষ্ঠানে ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন। সন্ধ্যার ফ্লাইটে সিলেট গিয়ে রাতটুকু বিশ্রাম নিয়ে পরদিন মাঠে নেমেছেন।
তবে অনুশীলন না করলেও পারফরম করেছেন তিনি। প্রথম ম্যাচে দারুন ব্যাটিং করা সাকিব মাত্র ৭ রানের জন্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১০ম শতরান হাতছাড়া করেছেন।
শতক পূর্ণ করতে না পারলেও ব্যাট হাতে আইরিশদের কড়া শাসন করেছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। উইকেটের সামনে, পিছনে ও চারদিকে তার বাহারি স্ট্রোক প্লে আর কামানের গোলার মত শটসগুলো আইরিশ বোলিং-ফিল্ডিংকে তছনছ করে দেয়।
কাজেই তার আজ অনুশীলন না করা নিয়ে অতিবড় সমালোচকও নিশ্চুপ। আর সাকিবের পক্ষে আজ অনুশীলন না করার একটি যুক্তি অবশ্য ছিল। রোববারের অনুশীলনটা একদম পুরোদস্তুর সিডিউল সিরিয়াস ও পূর্ণাঙ্গ প্র্যাকটিস সেশন ছিলও না। অনেকটা ঐচ্ছিক অনুশীলনের মত, যার ইচ্ছে এসেছেন। যার ইচ্ছে আসেননি।
অধিনায়ক সাকিব একা নন- লিটন, মেহেদি মিরাজসহ আরও কয়েকজন অনুশীলন করেননি। মূলত সিলেট থেকে চট্টগ্রাম আসার পর টাইগাররা সত্যিকার অনুশীলন সেশন কাটিয়েছেন গতকাল শনিবার। সেখানে অধিনায়ক সাকিবসহ পুরো দলই হাজির ছিল।