২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত সমবায় অধিদপ্তরের অধীনে ৮৭ পদের ভাইভা পরীক্ষার ফল ৯০ দিনের মধ্যে প্রকাশে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি কাজী জিনাত হক সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নূর উস সাদিক।
এর আগে ২০২২ সালে ১৫ জন নিয়োগ প্রার্থীর দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে রিটকারীদের ভাইভা পরীক্ষার ফল প্রকাশে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না এবং একইসঙ্গে ভাইভা পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সমাপ্ত করার জন্য বিবাদীদের প্রতি কেন নির্দেশনা দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত।
আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া জানান, সমবায় অধিদপ্তর ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী রিট পিটিশনাররাসহ অন্যান্য নিয়োগ প্রার্থীরা আবেদন করেন। তারা লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য এডমিট কার্ড প্রাপ্ত হন এবং পরে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে রিট পিটিশনাররা লিখিত পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হন। লিখিত উত্তীর্ণ হওয়ার পর তারা ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার জন্য এডমিট কার্ড প্রাপ্ত হন। যথানিয়মে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসের বিভিন্ন তারিখে ভাইভা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ৭ বছর সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও সমবায় অধিদপ্তর তাদের ভাইভা পরীক্ষার ফল প্রকাশ না করায় সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষুব্ধ হয়ে ২০২২ সালে রিট দায়ের করেন ১৫ জন প্রার্থী।
শুভজিৎ রায়, উম্মে আফিয়া, বৃষ্টি আক্তার, মো. আতিকুর রহমান, মো. রাকিব হাসান খান, মো. আল ইমরান (রানা), মো. বিপুল মিয়া, মো. আশফাক হোসেন, শ্রী দেবাশীষ শাহা, মো. মমিনুর রহমানসহ মোট ১৫ জন এ রিট দায়ের করেন।
ওই রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজ এই রায় দেন।
এডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ্ মিয়া বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর সময় অতিবাহিত হয়ে গেলেও বেআইনিভাবে রিট পিটিশনারদের ভাইভা পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়নি, কিন্তু ওই রায়ের ফলে রিট পিটিশনাররা ন্যায়বিচার পেয়েছেন। আমি আশা করছি কর্তৃপক্ষ সময়ক্ষেপণ না করে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ভাইভা পরীক্ষার ফল প্রকাশ করবেন।