শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন,নতুন প্রজন্মকে প্রাতিষ্ঠানিক ও দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার দিকে বেশি নজর দিতে হবে।
তিনি বলেন, পাশাপাশি মানবিক মূল্যবোধ শিখতে হবে। এর মধ্যদিয়েই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। গড়ে তুলবো স্মার্ট বাংলাদেশ।
আজ রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষতাভিত্তিক ১৯টি শর্ট কোর্স প্রবর্তন নিয়ে ‘স্কিল বেইজড শর্ট কোর্সেস অ্যান্ড কারিকুলাম’ শীর্ষক কর্মশালায় ভার্চ্যুাল যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় নতুন ১৯টি শর্টকোর্স চালুর যে উদ্যোগ নিয়েছে সেটি নি:সন্দেহে প্রশংসনীয়। দক্ষতাভিত্তিক এই শর্ট কোর্সগুলো করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের যেমন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারবে, তেমনি দেশে-বিদেশে তাদের কর্মসংস্থানও নিশ্চিত হবে।
তিনি আরো বলেন, এসব নতুন উদ্যোগ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক শিক্ষার মান উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে দিনব্যাপী আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার। রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. মীজানুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এম আকাশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অনার্স এবং ডিগ্রি পর্যায়ে পিজিডি ও শর্ট কোর্স চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পিজিডি কোর্সের সিলেবাস অনুমোদন হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী মার্চ মাস থেকে এই কোর্সের কার্যক্রম শুরু হবে। বিষয় বিশেষজ্ঞরা এ কোর্সগুলো প্রণয়ন করেছেন। ১৯টি শর্টকোর্স প্রবর্তন করতে যাচ্ছি। এর মধ্য থেকে দু‘-একটি বাধ্যতামূলক করা হবে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত হবে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দক্ষ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।