জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের খুঁজে বের করতে স্বাধীন কমিশন গঠনের নির্দেশনা কেন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
পাশাপাশি কমিশন গঠনে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
এ সংক্রান্ত রিটের পক্ষে আইনজীবী মো. আবদুল আলীম মিয়া জুয়েল সাংবাদিকদের আদালতের আদেশের বিষয়টি জানান।
এডভোকেট সুবীর নন্দী দাস পিটিশনার হয়ে রিটটি দাখিল করেন। আদালতে শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার ষড়যন্ত্রের নেপথ্যে থাকা কুশীলবদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালের ২৫ অক্টোবর রিটটি দায়ের করা হয়।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এডভোকেট সুবীর নন্দী দাস বাসস’কে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনায়কদের হত্যাকান্ডের বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের নজিরসহ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট আইনের আলোকে বিভিন্ন দেশের আদালত কর্তৃক প্রকাশিত রায়ের নজির রিট আবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৮২ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্যদের দ্বারা গঠিত বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের তদন্ত কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুকে নির্মম হত্যাকান্ডের ষড়যন্ত্র এবং তৎপরবর্তী পদক্ষেপসমূহ সম্পূর্ণ পর্যালোচনা ও নিরীক্ষার লক্ষে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিশন চেয়ে রিটটি দায়ের করা হয়।