বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের নবম আসরে প্রথম জয়ের দেখা পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা আজ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জর্সকে হারিয়ে এবারের আসরে প্রথম জয়ের স্বাদ পেলো।
আজ নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে কুমিল্লা ৬ উইকেটে হারিয়ে চট্টগ্রামকে। এর আগে নিজেদের প্রথম তিন ম্যাচেই হেরেছিলো কুমিল্লা। অন্য দিকে পঞ্চম ম্যাচে তৃতীয়বারের মত হারের লজ্জা পেল চট্টগ্রাম।
স্থানীয় জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক শুভাগত হোম।
প্রথম ওভারের শেষ বলে চট্টগ্রামের পাকিস্তানী ওপেনার উসমান খানকে বোল্ড করেন স্পিনার তানভীর ইসলাম।
দলীয় ২ রানে উসমানকে হারানোর ধাক্কাটা সামলে নেন ম্যাক ও’দাউদ ও আফিফ হোসেন। পাওয়ার প্লেতে দলকে ৪৫ রান এনে দেন তারা।
ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ও’দাউদ ও আফিফের জুটি ভাঙেন পেসার মুকিদুল ইসলাম। আগের ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি করা আফিফকে ২৯ রানে বিদায় করেন মুকিদুল। ২১ বল খেলে ৬টি চার মারেন আফিফ।
আফিফের আউটের পর ব্যাটিং ধস নামে চট্টগ্রামের। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। ৯৮ রানে পৌঁছাতেই সপ্তম উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। ও’দাউদ ২৪, আগের ম্যাচে মারমুখী হাফ-সেঞ্চুরি করা আফগানিস্তানের দারউইশ রাসুলি ১১ রান করে আউট হন।
অষ্টম উইকেটে মেহেদি হাসান রানাকে নিয়ে ১৮ বলে অবিচ্ছিন্ন ৩৬ রান তুলে চট্টগ্রামকে সম্মানজনক স্কোর এনে দেন শুভাগত। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করে চট্টগ্রাম। ২৩ বলে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ৩৭ রান করেন শুভাগত। ৮ বলে ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন রানা। কুমিল্লার তানভীর-মোসাদ্দেক-খুশদিল ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
জবাব দিতে নেমে কুমিল্লাকে দারুন সূচনা এনে দেন ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হওয়া লিটন দাস ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ রিজওয়ান। পাওয়ার-প্লের সুবিধা ভালোভাবে কাজে লাগিয়ে ৩৫ বল খেলে ৫৬ রান তুলেন তারা। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরির বলে বোল্ড আউট হওয়ার আগে ২২ বল খেলে ৪টি চার ও ৩টি ছয় ৪০ রান করেন লিটন।
এরপর রানের চাকা সচল রাখেন রিজওয়ান ও অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। ২৩ বলে ২৯ রান যোগ করেন তারা। দশম ওভারে কুমিল্লার শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন শ্রীলংকার স্পিনার মালিন্দা পুষ্পকুমারা। চতুর্থ বলে ইমরুলকে ও শেষ ডেলিভারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জনসন চার্লসকে বিদায় করেন তিনি। ১টি করে ছয় ও চার মেরে ইমরুল ১৩ বলে ১৫ রানে এবং খালি হাতে ফিরেন চার্লস।
৯০ রানে তৃতীয় উইকেট পতনের পর কুমিল্লার জয়ের পথ সহজ করেন রিজওয়ান ও জাকের আলি। চতুর্থ উইকেটে ৩৩ বলে ৩৫ রান জমা করেন তারা। ২টি ছক্কায় ২৩ বলে ২২ রান করে আউট হন জাকের।
জাকের যখন ফিরেন তখন জয় থেকে ১১ রান দূরে কুমিল্লা। এরপর ১৫ বল বাকী রেখে দলকে জয়ের স্বাদ দেন রিজওয়ান ও খুশদিল। ৪টি চারে ৩৫ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করেন রিজওয়ান। ১০ রানে অপরাজিত থকেন খুশদিল। চট্টগ্রামের পুষ্পকুমারা ২টি উইকেট নেন।