মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত হত্যা, গণহত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদসহ পাঁচ আসামির বিষয়ে যে কোন দিন রায় ঘোষণা করা হবে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল রায়ের বিষয়ে এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলম।
গতকাল রোববার এ মামলায় উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্যে যে কোন দিন অপেক্ষমান (সিএভি) রেখে আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন।
এই মামলায় মোট আসামী ছিলেন আটজন। এর মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ছয়জন গ্রেফতার হয়েছিলেন। এদের মধ্যে তিনজন কারাগারে। আর তিনজন মারা গেছেন। বাকি দুজন পলাতক।
প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন আসামিদের বিরুদ্ধে শুনানি করেন। তার সাথে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন ও তাপস কান্তি বল। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সোবহান তরফদার, এডভোকেট মিজানুল ইসলাম ও এডভোকেট গাজী এমএইচ তামিম।
প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন বলেন, এ মামলায় মোট আট আসামির মধ্যে ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরমধ্যে তিনজন মারা গেছেন। তারা হলেন জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি এমএ আব্দুল হান্নান, তার ছেলে মো. রফিক সাজ্জাদ ও মিজানুর রহমান মিন্টু।
গ্রেফতার হয়ে এখনো কারাগারে মো. হরমুজ আলী , মো. আব্দুস সাত্তার ও খন্দকার গোলাম রব্বানী। আর এখনো পলাতকরা হলেন ডা. খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ ও মো. ফখরুজ্জামান।
এর আগে ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর মামলায় জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এমএ হান্নান ও তার ছেলেসহ আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে মামলার আইওসহ ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
২০১৬ সালের ১১ জুলাই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা আসামিদের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন শাখায় জমা দেয়। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, অপহরণ, আটক, নির্যাতন, হত্যা ও লাশ গুম এ সাত ধরনের অপরাধে ৬টি অভিযোগ আনা হয়।