বাংলাদেশী ক্রিকেটারদের মানসিক সমস্যা দেখছেন পাকিস্তান লিজেন্ড ওয়াসিম আকরাম। চলতি অষ্টম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সুপার সুপার টুয়েলভে নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরে সেমিফাইনালে ওঠার সুবর্ণ সুযোগ হারায় বাংলাদেশ। ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ৫ উইকেটে হারের জন্য বাংলাদেশের ক্রিকেটারই দায়ী বলে মনে করেন সাবেক কিংবদন্তী ফাস্ট বোলার আকরাম।
বাংলাদেশ দলের কোচ বা অধিনায়ক হলে তিনি খেলোয়াড়দের মনোবিদ দেখাতেন উল্লেখ করে আকরাম বলেন, বাংলাদেশের ব্যাটারদের উচিত ছিল পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদিকে সাবধানে খেলা।
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারলেও সুপার টুয়েলভে নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে দৌঁড়ে ছিলো বাংলাদেশ। সেমিতে উঠতে শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের কাছে সহজ সমীকরণ ছিলো-পাকিস্তানকে হারানো। পাকিস্তানকে হারালেই প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের সেমিফাইনালে উঠতো টাইগাররা। কিন্তু সেমিতে খেলার সুযোগ হেলায় হারায় বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৭০ রান তুলেছিলো বাংলাদেশ। ১১তম ওভার থেকেই যাওয়া-আসার মিছিল শুরু হয় টাইগার ব্যাটারদের। পরের ১০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান তুলতে পারে বাংলাদেশ। এরমধ্যে বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বির্তকিত আউটও ছিলো। ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৭ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পেসার আফ্রিদি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ২২ রানে ৪ উইকেট নেন। ১২৮ রানের টার্গেট ১১ বল বাকী রেখেই ধরে ফেলে পাকিস্তানের ব্যাটাররা।
পাকিস্তানের কাছে এমন হারের সমালোচনা করেছেন ওয়াসিম। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ দলকে হারের জন্য তাদের নিজেদেরকেই দায় নিতে হবে, তাদের নেওয়া উচিত। আমি যদি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক বা কোচ হতাম তাহলে আমি দলের সবাইকে মনোবিদ দেখানো নিশ্চিত করতাম।’
ওয়াসিম আরও বলেন, ‘কারণ একপর্যায়ে ৫৪ রানে ছিলেন শান্ত এবং তখন সবকিছু ভালোই ছিল। ২ উইকেটে ৭৩ রান করে তারা ভালো অবস্থায়ই ছিলো। কিন্তু তারপর ইফতিখারের বলে একটি অদ্ভুত শট খেলে বোল্ড হন শান্ত। আপনি যদি সিঙ্গেল নিয়ে খেলতেন তবে স্কোরটা ১৫৫ হতো।’
ডেথ ওভারে বাংলাদেশের বড় ক্ষতি করেছেন পেসার আফ্রিদি। ১৭তম ওভারে মাত্র ১ রান দিয়ে ২টি ও ১৯তম ওভারে ৭ রান খরচ করে ১ উইকেট নেন আফ্রিদি। এতে শেষদিকে, দ্রুত রান পায়নি বাংলাদেশ।
ওয়াসিমের মতে, আফ্রিদির ১৭তম ওভারে আক্রমণাত্মক নয়, স্ট্রাইক রোটেট করে খেলা উচিত ছিলো বাংলাদেশের। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনি যখন দেখবেন এক ওভারের জন্য অধিনায়ক কোন বিশেষ বোলারকে নিয়ে আসে, তখন আপনাকে বুঝতে হবে সে উইকেট নিতে এসেছে। দলের মূল বোলারের বিপক্ষে আপনি তখন শট খেলবেন না, সেই ওভারে স্ট্রাইক রোটেট করে খেলবেন। কিন্তু তারা আফ্রিদিকেই মেরে খেলার মন স্থির করলো।’