‘নাজুক’ পাকিস্তানের ভঙ্গুর আত্মবিশ^াসে আঘাত হানতে চান দক্ষিন আফ্রিকার ডেভিড মিলার। আগামীকাল নিজেদের মহাগুরুত্বপুর্ন ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে সেমিফাইনালে যেতে চায় প্রোটিয়ারা। আগামীকাল সিডনিতে অনুষ্ঠিত হবে দুই দলের মধ্যকার ম্যাচটি।
ভয়ঙ্কর পেস আক্রমন এবং ফর্মে থাকা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়ে এবারের অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের ‘ডার্ক হর্স’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে দক্ষিন আফ্রিকা। টুর্নামেন্টে গ্রুপ ২ থেকে নিজেদের তিন ম্যাচের দু’টিতেই জয়ী হয়েছে প্রোটিয়ারা। তন্মধ্যে ভারতের বিপক্ষেও জয় রয়েছে। একটি ম্যাচ ভেসে গেছে বৃস্টিতে।
এদিকে প্রোটিয়াদের কাছে হেরে গেলে পয়েন্ট তালিকার পঞ্চম স্থানে থাকা পাকিস্তানকে বিশ^কাপ থেকে বদায় নিতে হবে।
আগের তিন ম্যাচে সম্পুর্নভাবে ব্যর্থ হয়েছে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের সমন্বয়ে গঠিত পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি ফর্ম ফিরে পাবার তীব্র চাপের মধ্যে রয়েছেন । দক্ষিন আফ্রিকার মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মিলার বলেন,‘ আমার মতে (পাকিস্তানকে) চেপে ধরার এটিই ভালো সুযোগ। এই খেলাটি আত্মবিশ্বাসের এবং আমার মনে হয় তারা যেভাবে চেয়েছিল সম্ভবত সেভাবে পারফর্ম করতে পারেনি।
তবে আমার মনে হয় তাদের বিশ্বমানের খেলোয়াড়রা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেস্টা করবে এবং ম্যাচটি চ্যালেঞ্জিং করে তুলবে।’
এদিকে প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে যন্ত্রদায়ক পারজয়টি নিয়ে পাকিস্তান শিবিরে এখনো আলোচনা বলে জানিয়েছেন দলটির বোলার নাসিম শাহ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দলটির কাছে শেষ বলের নাটকীয়তায় পরাজিত হয়েছিল তারা। পরের ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছেও শেষ বলের নাটকীয়তায় হেরে গিয়েছিল পাকিস্তান। তৃতীয় ম্যাচে অবশ্য নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় উপমাহাদেশের ওই ক্রিকেট পরাশাক্তি। ভারতের কাছে হেরে যাওয়ার ঘটনা থেকে পাকিস্তান এখনো বেরিয়ে আসতে পেরেছে কিনা সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নাসিম বলেন,‘ না, আমি তেমনটা মনে করিনা, কারণ দলের সবাই পেশাদার এবং সবাই নিজেদের সম্পর্কে জানে। আমরা ভারতের কাছে হেরেছি, তবে আমি মনে করিনা সবাই এটি নিয়ে খুব বেশী ভাবছে। কারণ পেশাদাররা কখনো অতীতের পরাজয় নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায় না। ’
ভারতের বিপক্ষে ¯œায়ুক্ষয়ী ৫ উইকেটের জয় পাওয়া ম্যাচটিতে অপরাজিত থেকে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন মিলার। যেটি দক্ষিন আফ্রিকাকে স্থিতিশীল ও শিরোপা প্রত্যাশী দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তিনি বলেন,‘ আমরা জয়ের অনেক পথ খুঁজে পাচ্ছি বলে মনে করি। সুনর্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে এটি করেছি। আমি বলতে চাই, গত বছর আমাদেরকে কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হয়েছে। তবে এবার সেটি অতিক্রম করতে পেরেছি।
আমার মনে হয় সময় যতই গড়াচ্ছে দলের মধ্যে ধারাবাহিকতার সৃস্টি হচ্ছে, ছেলেরা তাদের ভুমিকা খুঁজে পাচ্ছে এবং একজন খারাপ করলে অন্যজন সেটি পুষিয়ে দিচ্ছে।’